দেলওয়ার হোসাইন : নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এরই অংশ হিসেবে চলছে নির্বাচন পরিচালন ও আচরণ বিধিমালা সংশোধনের কাজ।
আগামী ডিসেম্বরে এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের চিন্তাভাবনা করছেন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। ফলে দুই সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক তথ্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করতে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বর্তমান ইসির অধীনে এটাই হবে শেষ বড় নির্বাচন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছি। বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে। বিধান অনুযায়ী, কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। তবে কবে নাগাদ ভোটগ্রহণ হবে তা কমিশন নির্ধারণ করবে।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর। আর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোট হয়েছিল। ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভা হয়। এ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ আগামী ২৬ ডিসেম্বর ও কুমিল্লার আগামী বছর ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। ফলে এ বছরের ২৯ জুন থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে এবং ১২ আগস্ট থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট শেষ করতে হবে ইসিকে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচন একইদিনে করতে চায় ইসি। সর্বশেষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোট একদিনে নেওয়া হয়। দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে বছর শেষে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালায় দুটিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ২৭ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯টি। মোট ভোটার রয়েছে ৪০ লাখ ৩ হাজার ৭০৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৯৬ জন ও নারী ২ লাখ ৬১০ জন। অপরদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ২৭ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯টি। ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ১৯৯ জন ও নারী ৮৬ হাজার ৭৪ জন।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী