সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ-৫৯৫/৮ (ডি.) ও ৬৬/৩
নিউজিল্যান্ড-৫৩৯
এল আর বাদল: বাংলাদেশের গড়া প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানের জবাবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ৫৩৯ রানে গুটিয়ে যায়। এ অবস্থায় টাইগার সেনারা ৫৬ রানের লিড নিয়ে গতকাল চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬৬ রান। এদিন প্রথম সেশনে তিন শীর্ষ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেন। তবে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানের মধ্যে টাইগারদের ৪ উইকেটের পতন ঘটেছিল। সেখান থেকে সাকিব আর মুশফিকের বিশাল পার্টনারশিপের (৩৫৯) পর পঞ্চম উইকেটের ধস নামে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সে তুলনায় উইকেটের দিক থেকে এগিয়ে আছে। প্রশ্ন হলো, আজ শেষ দিনে বাকি সাত উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ কেমন খেলবে। ন্যূনতম ৩০০ রান করতে পারলে এই টেস্ট ড্রর দিকেই এগুবে। তবে টাইগার সেনারা যদি মাঠে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে, তাহলে নিউজিল্যান্ড চাইবে জয় আদায় করে নিতে। ভাগ্য নির্ধারিত শেষ দিনে কেমন খেলবে মুশফিকরা, সেদিকেই তাকিয়ে দেশের লক্ষ-কোটি ক্রিকেট ভক্ত।
গতকাল চতুর্থদিন বাংলাদেশের বোলাররা দিনটি নিজেদের করে নিলেও ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডারে থাকা ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৬৬ রান তুলতে বাংলাদেশ হারিয়ে বসেছে তিনজন ব্যাটসম্যানকে। এ ছাড়াও রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন ইমরুল কায়েস। তৃতীয় দিনে বেশ দুর্দান্ত গতিতে চলা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচল ছিল চতুর্থদিনেও। বাংলাদেশের বাকি বোলাররা যেখানে ব্যর্থ সেখানেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বল করতে হয় সাকিবকে। তাই ল্যাথাম-নিকলসের পার্টনারশিপ ভাঙার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন টেস্টের সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
পরপর কয়েক ওভার চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানের এই পার্টনারশিপ ভাঙতে সক্ষম হন সাকিব। শুভাশিস-এর কিছু পরে কলিন ডে গ্রান্ডহোমিকে সাজঘরে ফেরালে বাংলাদেশের হয়ে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি শিকার করেন সাকিব।
নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে নামা টম ল্যাথামকে ঘূর্ণি জাদুতে বোকা বানিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ব্লাকক্যাপসদের দুর্দান্ত স্কোর কার্ডটি এ সময় দাঁড়ায় ৩৯৮/৬। ল্যাথাম আউট হন ১৭৭ রানে। এর পরের অধ্যায়টা আসলে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের। সাকিবের আঘাতের পর ওয়াটলিং ও সেটনার জুটি ৭৩ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। আর সেখানেই আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ১৩৩ ওভারে ওয়াটলিংকে ৪৯ রানে এবং টিম সাউদিকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান রিয়াদ। এরপর দিনের শেষ ভাগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৮.৩ ওভারে ৬৬ রান করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ঝড়গতিতে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া তামিম ইকবালকে ব্যক্তিগত ২৫ রানে বোল্ড আউট করেন সেটনার। এর আগেই অবশ্য আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। এ সময় মাঠের এক প্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল। কিন্তু অপর প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহদি হাসান মিরাজের আসা-যাওয়ার মিছিলে দিন শেষে নিউজিল্যান্ড শক্ত হয়ে ওঠে। হাতে ৭ উইকেট ও ১২২ রানের লিড নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। সম্পাদনা: এনামুল হক