বন্ধুদের বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ দিয়েছেন ফারাজ!
ডেস্ক রিপোর্ট : জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে বলা হয়েছিল চলে যেতে। কিন্তু একা একা বেঁচে যাওয়ার লোভে দুই বন্ধুকে ছেড়ে যেতে চাননি তিনি। সম্ভবত এজন্যই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ফারাজের স্বজনদের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে তৈরি করা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে এসেছে।
ফারাজের বিষয়ে জানতে নিউ ইয়র্ক টাইমস কথা বলে তার চাচা হিশাম হোসেনের সঙ্গে। হিশাম জানান, শুক্রবার মধ্যরাতের হামলার পর ভোরের দিকে বন্দুকধারীরা হিজাব পরিহিত কয়েকজনকে মুক্ত করে দেয়। ফারাজ হোসেনকেও সেসময় নাকি ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
হিশাম জানিয়েছেন, ফারাজের সঙ্গে থাকা জিম্মিরা মুক্ত হয়ে তাকে এসব কথা বলেছেন। হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাজ-এর দুই নারী বন্ধু পশ্চিমা পোশাক পরিহিত ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা দুই নারীকে তাদের জাতীয়তা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। তারা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখানে আসার কথা জানান। যদিও অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলেও তিনি বাংলাদেশেরই নাগরিক।
হিশাম জানান, ওই দুই নারীর জাতীয়তা সম্পর্কে জানার পর বন্দুকধারীরা তাদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি জানিয়েছেন, ফারাজ তাদের ছেড়ে আসতে চাননি। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
ফারাজ হোসেন হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি। আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষারত ছিলেন তিনি। ছুটি কাটাতে বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
আটলান্টাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিফাত মুরসালিন নামের এক ইমোরি গ্র্যাজুয়েট জানান, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন নামের একটি প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য তরুণ শিক্ষার্থীরা যখন তাকে অনুরোধ করেছিলেন তখনই ফারাজ হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রিফাত বলেন, ‘হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দিয়ে ও সহযোগিতা করতে চাইতো।’ সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, ফক্স নিউজ