সন্তান নিখোঁজ থাকলে জানান: র্যাব ডিজি
মাসুদ আলম : পরিবারের কোনো সদস্য নিখোঁজ হয়ে থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান। ব্লগ-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা কোনো এলাকায় জঙ্গি তৎপরতার কথা জানা থাকলে সেটিও জানান।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনাটির কথা বিবেচনায় রেখে ঈদগাহে মুসল্লিদের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে। আগের চাইতে আরও যেসব বিষয়ে বেশি নজর রাখা দরকার সেসব বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা এবারের নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজিয়েছি। মুসল্লিরা নির্ভয়ে নামাজ আদায় করতে আসবেন। তারা নিরাপত্তাব্যবস্থাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখবেন না।
তিনি বলেন, পরিবারের কেউ মিসিং থাকলে, আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাবে এমন ভয় না পেয়ে ল’ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে জানান। তাকে খুঁজে বের করতে পারলে তার জীবন ও অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারব। নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব এবং মানবতাবোধ থেকে সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বেনজীর। অবশ্য যে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির কারণে বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে, তাদের ক্ষেত্রেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছিল। গুলশান ক্যাফেতে ‘হামলাকারীদের’ ছবি সাইট ইন্টেলিজেন্স প্রকাশ করার পর তাদের সঙ্গে মিল দেখে পরিচিতজনরা পুরনো ছবি পাশাপাশি রেখে শেয়ার করতে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে তিনজনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়, যাদের মধ্যে স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র রোহান ইমতিয়াজ ও বর্তমান ছাত্র মীর সামেহ মুবাশ্বের গত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ বলে পরিবারের ভাষ্য। গুলশানে হামলায় যেসব জঙ্গি মারা গেছেন, তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের একজন বাসা থেকে পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন, কিন্তু মুঠোফোন ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রেখে গেছেন। আমরা ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, নিখোঁজের পর আর তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম