ইরাক যুদ্ধ : বিচার হতে পারে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০০৩ সালে ব্রিটেন ইরাকে যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে কোনও যৌক্তিক বিবেচনার ভিত্তিতে ছিল না। বরং সেটা হয়েছিল ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। বুধবার ইরাক হামলায় ব্রিটেনের যোগ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত চিলকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে না জানিয়ে এই যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। এই তদন্ত প্রতিবেদনের পর অসত্য তথ্য দিয়ে ইরাকে হামলা চালানোর দায়ে ব্লেয়ার বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। চ্যানেলআই
ব্লেয়ারের বিচারের দাবিতে পার্লামেন্টে প্রস্তাব আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ২৬ লাখ শব্দের ওই প্রতিবেদনে স্যার জন চিলকট ইরাক যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিতর্কিত সেনা সম্পৃক্ততা বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই উপসংহারে এসেছি যে, ইরাক যুদ্ধে যোগ দেওয়া ছাড়াও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যেত। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরাককে নিরস্ত্র করা যেত। ওই মুহূর্তে সেনা সম্পৃক্ততাই শেষ কথা ছিল না।’
ইরাকে হামলায় যুক্তরাজ্যের যৌক্তিকতা অনুসন্ধান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সরকারের ভূমিকা তদন্তে স্যার জন চিলকটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৯ সালে গঠিত ওই কমিটি দীর্ঘ সাত বছর পর তাদের ঐতিহাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করল। স্যার জন চিলকটের নাম অনুসারেই এ প্রতিবেদনকে ‘চিলকট রিপোর্ট’ বলা হচ্ছে। ইরাক যুদ্ধে ১৭৯ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়। সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড। এই যুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ ইরাকি নিহত হয় এবং ১০ লাখের বেশি ইরাকি বাস্তুহারা হয়।