মাসুদ মিয়া: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায় বোর্ডের (বাপবিবো) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ-‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আওতায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দেশের ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাপবিবোর্ডের আওতাধীন ৭৯টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহের ৩ দিনব্যাপী ‘জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলন-২০১৭’ এ সভাপতির বক্তৃতায় বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। বর্তমানে আরো ২৫টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হবে।
এ সম্মেলনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। কাল পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যু বিষয় হচ্ছে ‘সহজ করবো পদ্ধতি-দ্রুত দিব সংযোগ’। সম্মেলনে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের সভাপতি, জেনারেল ম্যানেজার এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৩৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। আরও ৭টি প্রকল্প বিবেচনাধীন আছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ। আগামী জুন মাসে আরো নতুন ২২ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে। এতে গ্রাহক সংখ্যা হবে ২ কোটি।
ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে অনলাইনে বিদ্যুুৎ সংযোগ আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ক্রয় প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার স্বার্থে ই-জিপি টেন্ডারিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ইজিবাইকের ব্যাটারী চার্জিং এর জন্য বাপবিবোর্ড ইতোমধ্যে ৮টি সোলার চার্জিং স্টেশন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে ৪টি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া ৪০টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের পাশাপাশি আরও ২ হাজার সোলার সেচ পাম্প স্থাপনে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাপবিবোর্ডের উদ্যোগে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩৫ হাজার কিলোমিটার লাইন এবং ৮৪টি উপকেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় ৩০ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম