Three women wearing the niqab walk to the festival palace, in protest of the country’s ban on full face veils, during the 64th Cannes Film Festival May 17, 2011. REUTERS/Eric Gaillard/files
রাশিদ রিয়াজ: পুরোপুরি মুখ ঢেকে বোরকা পড়ায় অস্ট্রিয়ায় আইন করার বিরোধিতা করছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে দেশটির ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকার পর্যটক হারালে যে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে তাতে ধস নামবে।
সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভিয়েনা ছাড়াও জেল ও স্কাই রিসোর্ট এলাকায় আপাদমস্তক বোরকা পড়ে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কেউ তা পড়লে দেড়শ ইউরো জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কোনো নারী যদি মুখ থেকে বোরকার আবরণ না খুলেন তাহলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। ভিয়েনা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি আন্দ্রিয়া স্টাইনলাইনার বলেছেন, বোরকা নিষেধ করলে তা অস্ট্রিয়ার পর্যটন খাতে কি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছে? মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় এলাকার পর্যটকরা অস্ট্রিয়ায় এসে প্রচুর অর্থ খরচ করেন বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ভিয়েনা চেম্বার অব কমার্সের পর্যটন প্রধান মার্কাস গ্রেইসলার বলেন, বোরকা নিষিদ্ধ হলে পর্যটন খাতের ক্ষতির আশঙ্কা অবধারিত। প্রতিবছর অন্তত ৭০ হাজার দর্শক আসে ওই দুটি এলাকা থেকে।
অস্ট্রিয়ার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তা মিখায়েলা রিয়েটরা মিডিয়াকে বলেছেন, বোরকা নিয়ে মানুষের ভীতি রয়েছে বুঝছি কিন্তু এ ধরনের প্রতীকী নিষেধাজ্ঞা মধ্যপ্রাচ্যকে টার্গেট করে অস্ট্রিয়ার পর্যটন ব্যবসা ও পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
ভিয়েনার ম্যারিয়ট হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে যখন আরব দেশগুলো থেকে পর্যটকদের আগমন বাড়ছে এবং গ্রীষ্মকালে আরবি দোভাষী ও ওই অঞ্চলের কুকদের নিয়োগ করা হচ্ছে তখন বোরকা নিষিদ্ধ কেন? ম্যারিয়ট হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ডিয়েতা ফেঞ্জ বলেন, মাঝরাত থেকে ভোরের আগ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত পর্যটকদের খাবার সরবরাহ করতে হয়। কারণ এ ধরনের পর্যটকরা সারারাত জাগতে ও ঘুম থেকে বিলম্বে উঠতে পছন্দ করেন। তারপর বোরকা নিষিদ্ধ হলে এরা অন্য দেশে চলে যাবেন। ম্যারিয়ট হোটেলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যেসব নারী পর্যটকরা আসেন তাদের অন্তত ৩০ ভাগ পুরো মুখ ঢেকে রাখেন। এমন কি এ ধরনের নারী পর্যটকরা তাদের দাদি ও নানিসহ পুরো পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন। কোনো কোনো দলে ১২ জন পর্যন্ত পর্যটক থাকে।
হোটেল নিইউ পোস্ট-এর মালিক হেরাল্ড ব্রাকনার বলেছেন, সরকারি দল পুনরায় নির্বাচিত হতেই বোরকা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। অভিবাসীদের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত ফ্রিডম পার্টির জোর সমর্থন রয়েছে এতে।
অস্ট্রিয়ার নিও এলাকার এমপি ও হোটেল মালিক সেপ স্কেলহর্ন বলেছেন, বোরকা বাতিল হলে পর্যটকদের কাছে ভুল ধারণা যাবে। তিনি অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জের বোরকা বাতিলের উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, এ ধরনের বিভেদকারী সিদ্ধান্ত তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নে সৃষ্টি করছে। দি লোকাল