জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হবে
ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে দেশ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনী অতীতের মতো সুদূর ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে’।
গতকাল দুপুরে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) দ্বিতীয় বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট (বিআইআর) বিকাশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগ সব সময় স্মরণীয়। এ জন্য ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী তা গঠনে অনুমোদন দেন।
আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’র সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ প্রস্তুত করেছেন। নতুন নতুন ইউনিট গঠনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম কিনে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
সৈনিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ শৃঙ্খলিত, পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। পেশাদার বাহিনীর জন্য এটি চলমান প্রক্রিয়া। সম্পাদনা: এনামুল হক