সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
মাসুদ মিয়া: মাংস ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু ও ছাগলের মাংস তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেড়ে গেছে গররু মাংস দাম ও ফার্মের মুরগির চাহিদা। যার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর ডিম পাড়া কক মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকার উপরে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে তবে বেড়েছে মুরগীর মাংসের দাম।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, তবে কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকাা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে। আলু ১৫ টাকা ও পেঁপে ১৫ টাকা ২০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালো বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, প্রতি কেজি শিম ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, টেমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, সবজিতে বাজার পরিপূর্ণ থাকলেও দাম কিছুটা কমেছে এ বিষয়ে মিরপুর পিরেরবাগ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. হায়দার হোসেন বলেন, বাজারে সবজির সরবাহ বেশি থাকার কারনে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম আসলে দাম বাড়ে। দাম বাড়ার অন্য কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রামে যে সবজি ১০ টাকায় বিক্রি হয়; সে সবজি ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। এর একমাত্র কারণ রাস্তায় পুলিশ-সার্জেন্টসহ বিভিন্ন জনকে চাঁদা দিতে হয়। ফলে ঢাকায় পণ্য আসতে আসতে দাম দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বাড়ে। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সব সময়ই থাকে; তবে কেউ দাম কমায় না। মিরপুরের বাসিন্দা খালেদা আক্তার বলেন, অন্য বাজারের তুলনায় কারওয়ানবাজারে সব কিছুর দাম কিছুটু কম থাকে।
তবে দাম সবসময় একই থাকে। এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০২ থেকে ১০৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি আদা ১২০ টাকা, চীনের আদা ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা; লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা; পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে দাম বাড়ছে সব ধরনের মাংসের। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০০ টাকা। বেড়েছে মাছের দামও। গরুর মাংসের ৮০ টাকা ও মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকা বিক্রি করছে, খাসির মাংস বিক্রি করছে ৭০০ টাকায়। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা; কাতলা ২০০-৩০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা; সিলভার কার্প ১৪০-১৮০ টাকা; পাঙ্গাস ১১০-১৫০ টাকা; চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা ও দেশি মাগুর ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায়; ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা; প্রতিটি বড় ইলিশ (ওজন এক কেজির বেশি) বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।