উম্মুল ওয়ারা সুইটি: যৌন হয়রানি বা অন্য যেকোনো ধরনের নির্যাতরে জন্য মেয়েটি দায়ী থাকে না। কিন্তু তারপরও ওই মেয়েকেই সব নির্যাতনের দায় মাথা নিতে হয়।
একবার যদি একটি মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয় তাহলে বারবার তাকে সামাজিক, পারিবারিকভাবে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আর এ কারণেই দেখা যায় নির্যাতিত মেয়েটি এক সময় অসুস্থ মানুষের পরিণত হয়।
মনোরোগ চিকিৎসক মুহিত কামাল আরও বলেন, প্রথম দিকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পাশে অনেকেই থাকেন। পরিবারও তাকে সহযোগিতা করে। কিন্তু মেয়েটি যদি আর্থিক সামর্থের অধিকারী না হয়, তাহলে ধীরে ধীরে প্রিয় পরিবারও তাকে বাঁকা চোখে দেখতে থাকে। পরবর্তীতে যেকোনো ভুলের জন্য মেয়েটিকে বিপাকে পড়তে হয়। মেয়েটি সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ে। পরিবারের অন্য কোনো নেতিবাচক ঘটনার জন্যও ওই মেয়েকেই দায়ী করা হয়। এভাবে নির্যাতিত মেয়ে প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন বিষয়ে নির্যাতনের মধ্যে পড়ে।
মোহিত কামাল বলেন, সমাজকে নির্যাতন মেয়েদের সম্পর্কে আরও সংবেদনশীল হতে হবে। না হয়, প্রতিনিয়ত নির্যাতিত মেয়েদের মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। যা আমাদের জন্য কখনোই ইতিবাচক হবে না।