জিম্মিদের মোবাইল ব্যবহার করে জঙ্গিরা
দীপক চৌধুরী : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে জিম্মি করা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথা বলেছিল সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা। তারা দেশ ও বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে কথা বলেছে বলে তদন্ত দল সূত্রে জানা গেছে। দেশ কাঁপানো এ ঘটনা তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি)।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীরা ঢুকে কোনো সময়ই নেয়নি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর সারা রেস্তোরাঁয় তলোয়ার নিয়ে ঘুরেছে তারা। সাইটে ছবি দেওয়া, মুঠোফোনে কথা বলা ও অন্যসব ক্ষেত্রে নিহত ও জিম্মি ব্যক্তিদের মুঠোফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা জিম্মি করা ব্যক্তিদের নৃশংসভাবে হত্যা করার আগেই মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নিয়েছিল। তারা দেশের বাইরে কোথায়, কীভাবে, কার সঙ্গে কথা বলেছে তাও জানার চেষ্টা করেছে গোয়েন্দারা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ এ তথ্য পেয়েছে। জানা গেছে, চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তি ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার তথ্য তদন্ত দলের হাতে। তবে তদন্ত দলের কেউই এ বিষয়ে ‘কোট’ করে কোনো বক্তব্য দিতে অনিচ্ছুক।
ওই সূত্রে জানা গেছে, ৪ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার ধানম-ি বাসায় জাপানের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। তাদের নাগরিকদের কখন হত্যা করা হয়েছে, সময়ক্ষেপণ হয়েছে কি না, জানতে চেয়েছিল প্রতিনিধি দল। তখন উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা এর জবাব দেন। তারা জানান, ঘটনা শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই জঙ্গিরা লোকজনকে হত্যা করা শুরু করে। ঘটনার সময়টি কখন জানতে চাইলে একটি সূত্র জানায়, রাত সাড়ে দশটা হতে পারে।
ডিবির উপকমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, উদ্ধার হওয়া আটজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষী করা হচ্ছে। এ কারণে তাদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে বিবরণ শোনা হয়েছে।