মুক্তিযুদ্ধে খ্রিস্টানদের অবদান
নাহিদ বাবু
খ্রিস্টানেরা এই দেশের আদিবাসী না অধিবাসী আপনি বলুন কোনটা, তবে আমি বলব মুসলিমদের আগে এসেছে। এই উপমহাদেশের প্রথম খ্রিস্টানদের বীজ বর্পন করে যীশুর প্রিয় শিষ্য সাধু থোমা, যিনি কোন কিছু না দেখে বিশ্বাস করতেনা। তিনি এই উপমহাদেশে সুসমাচার প্রচার করে অনেকেই ধর্মান্তিত করেন পরবর্তীতে উইলিয়াম কেরি থোমার অসমাপ্ত কাজ শুরু করেন, বিভিন্ন ভাবে মানুষের মন আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ও স্বার্থক হন। তাদের এই ধারাবাহিকতাই আজকের এই খ্রিস্টান।
যাদেরকে আজ আমরা সংখ্যা লঘু বলে দুরে সরিয়ে দেই, দেশের নাগরিক হিসাবে মানতে চাই না, ঘৃর্ণা করি, কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের ভালোবাসে বিপদে কাছে দাঁড়ায় পারলে জীবনেও দিয়ে দেয়। তাদের ভালোবাসার প্রমান দিয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে, যখন দেশ শত্রুর কবলে বন্ধী জনগন অত্যাচারিত যখন দেশের সোনার ছেলেরা স্বাধীনের জন্য পাগল হয়েছিল ঠিক তখনেই জাতির জনকের ডাকে সারা দিয়ে, দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে সেই সংখ্যা লঘু খ্রিস্টরা। সবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, কাধে কাধ মিলিয়ে , ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশকে শত্রু মুক্ত করে জীবন বিলিয়ে দেয় শহীদ হয়।
যুদ্ধে জীবন দেয় সুভাষ বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরে খলিসাখালা গ্রামে পিতা কেশব লাল বিশ্বাস, তারেই মত খোকন সলোমন পিউরীফিকেশন পিতা পল পিউরীফিকেশন পূর্ব রাজারবাগ, টমাস আশিস ব্যাপারি বরিশাল জেলার মি.ধীরেন্দ নাথের ছেলে, পরিমলদ্রং ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট , ফাদার লুকাস মারান্ডী, উইলিয়াম এভাস, সিএমসি, থিওথিল, হাজংপ্যাট্রিক রড্রিন্ন, দীপক সাংমা , সমর লুইস ডি,কস্তা এক্রিবিশপ বনোয়ারী আর অনেকেই এমনকি তাদের র্গীজা গুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হয় , রোগীর সেবা করা হত তা করেছিল র্গীজার ফাদার ও সিস্টারেরা । আমরা তা আজ মানতে চাইনা এ ইতিহাস ভুলে যেতে চাই, কারণ তাতো যাবই।
আমরাতো বাঙ্গালী জাতি, উপকারির উপকার স্বীকার করি না। আজ আমাদের উচিত তাদের আজ দুংখের দিনে তাদের পাশে দাড়ানো, তাদের আজ নির্মম ভাবে হত্যা করতেছে, হুমকি দিতেছে তাদের বিচারে করার জন্য ঔক্যবধ হওয়া, বিচার চাওয়া। সরকারে উচিত তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, কারন খ্রিস্টানেরা এদেশে সংখ্য লঘু জন, এদেশের জনগন হিসাবে থাকতে চায়, সরকারের সব সুবিধা ভোগ করতে পারে। বাঁচার মত বাঁচতে চায়, মাথা উঁচু করে থাকতে চায়,কারণ দেশটা সবার, দেশের জন্যসবাই জীবন দিয়েছে।