সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদের পথ ছাড়লে পুনর্বাসন এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হবে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকা- তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলার জন্য একটি যুগোপযোগী স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিরা জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করলে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনও করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। দেশের মানুষের সুষম উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ হুমকিস্বরূপ। সরকার জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এজন্য জঙ্গিদমনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। জঙ্গিরা জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করলে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে এবং জঙ্গিদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে। জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের র্যাডিক্যালাইজেশন না ঘটে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সরকার দলীয় এমপি মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনারোধে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড ইডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন)’র আওতায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় ডিজিটাল তদারকি সিস্টেমের আওতাভুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক এর সাথে যৌথ অর্থায়নে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার “উচ্চ শিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প (হেকেপ)” বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও বহির্বিশ্বের শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড ইডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন) স্থাপন করা হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক