এফবি আই তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন জেফ সেশন্স
ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স এফবি আই-এর একটি তদন্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এফবি আই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রবল চাপের মুখে জেফ এ পদক্ষেপ নিলেন। বাসস
জেফ জানান, জানুয়ারি মাসে একটি শুনানিতে তিনি মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেননি। সেশন্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চলমান বা ভবিষ্যতের যে কোন ধরনের তদন্ত থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
তিনি তখন বলেছিলেন, তার সঙ্গে রাশিয়ানদের কোন ধরনের যোগাযোগ হয়নি।’ কিন্তু গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে তার সঙ্গে মস্কোর দূতের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ডেমোক্র্যাটসরা তার পদত্যাগের জোর দাবি জানায়। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছে, গত বছর সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য হিসেবে সেশনস রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন বরখাস্ত হওয়ার পর একই ধরনের কাজে অ্যাটর্নি জেনারেল সেশন্সের জড়িত থাকার খবরে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের যোগাযোগ এবং নির্বাচনে ‘তার পক্ষে’ রুশ হ্যাকিংয়ের অভিযোগের বিষয়টি আবার সামনে এল। ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
ট্রাম্পের অভিষেকের কিছুদিন আগে রাষ্ট্রদূত কিসলিয়াকের সঙ্গে রাশিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছিলেন মাইকেল ফ্লিন। এছাড়াও ফ্লিন জুলাই মাসে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেশনের ফাঁকে আরো কয়েকজন দূতের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
ফ্লিন তখন কোনো সরকারি পদে না থাকায় ওই বিষয়ে আলোচনা করে থাকলে মার্কিন আইনে তা হবে বে আইনি। জেফ সেশনসের রুশ যোগাযোগের খবরের প্রতিক্রিয়ায় ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেন, শপথ নিয়েও মিথ্যা বলায় তার (শেনস) অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠজনদের কথিত যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত করছে এফবি আই আর যেহেতু সেশন্সের অধীনেই ওই সংস্থা, ফলে তিনি পদে বহাল থাকলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে বলে ছিল আশঙ্কা ডেমোক্র্যাট নেতাদের।
জেফ সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এক বার্তায় বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণা বা এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি। এই অভিযোগ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ