ইরানে আটক ব্রিটিশ নাগরিকের মুক্তির দাবি টিউলিপের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে আটক নিজ নির্বাচনি এলাকার এক বন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ। একইসঙ্গে তার প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন এবং নিরাপদে তার মুক্তিতে সাহায্য করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ইরানের কারাগারে বন্দী রয়েছেন নাজানিন জাগহারি র্যাটক্লিফ নামের ৩৩ বছরের ওই নারী। এর আগে সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টার অভিযোগে তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।
নারী দিবস উপলক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ওয়েস্ট হ্যাম্পস্টেড এলাকায় আমার কাছ থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে তার বসবাস। তার জীবন আমার চেয়ে খুব আলাদা ছিল না।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আমি একজন নারী এমপি। আরেক নারী এমপি প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করছি নাজানিন-এর জন্য কিছু করুন। তাকে ওয়েস্ট হ্যাম্পস্টেড-এ ফিরিয়ে আনুন।’
ওয়েস্ট হ্যাম্পস্টেড-এর এমপি টিউলিপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি একজন হৃদয়বান নেতা হতে চান। সমবেদনা দেখানোর যদি একটা সময় থেকে থাকে তবে সেটা হচ্ছে এখন।’
নাজানিন জাগহারি র্যাটক্লিফ ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়; টিউলিপের ভাষায়, যে অভিযোগে তাকে দ- দেওয়া হয় তা ছিল অসত্য।
কারান্তরীণ অবস্থায় তার স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘ইরানের চিকিৎসকরা বলেছেন বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আগেই তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।’
তিনি আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের অভাব অনুভব করছেন। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি নির্যাতনের শামিল।
নাজানিন জাগহারি র্যাটক্লিফ একটি দাতব্য সংস্থায় কর্মরত। ২০১৬ সালের এপ্রিলে নিজের কন্যা সন্তানকে নিয়ে দেশত্যাগের সময় তাকে গ্রেফতার করে ইরানের কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের যেকোনো অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে নাজানিনের পরিবারের সদস্যরা।
নাজানিন জাগহারি র্যাটক্লিফ-এর স্বামী রিচার্ড র্যাটক্লিফ বর্তমানে লন্ডনে আছেন। তবে তাদের দুই বছরের কন্যাসন্তান এখনো ইরানেই আছে। সেখানে নানা-নানীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে সে। সম্পাদনা: এনামুল হক