মাঠে উপস্থিত থেকে কাজ তদারক করার আগ্রহ তাদের মধ্যে রয়েছে
ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে প্রথমবার বিজয়ী হয়েছিলেন রাজপথের বিরোধী দল সমর্র্থক একজন প্রার্থী। হেরেছিল সরকার দলীয় প্রার্থী। কুমিল্লায় অনেকদিন ধরেই আওয়ামী লীগের বড় দুই নেতার মধ্যে একটা ঠা-া বা স্নায়ুযুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান। এটাই মাঠের বাস্তবতা। ফলে এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে নতুন নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখানে কমিশনের সতর্ক দৃষ্টি রাখাটা জরুরি। কুমিল্লায় কমিশনের এক অর্থে লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ খুব একটা মোকাবিলা করতে হবে না। তবে এ বিষয়ে আমার একটা পরামর্শ থাকবে, নির্বাচনের দিনে কমিশনের পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে একাধিক কমিশনার যের মাঠে উপস্থিত থেকে নির্বাচনি কাজকর্মগুলো মনিটর করেন। সে ব্যবস্থা থাকলে ভালো। কারণ একই দিনে সুনামগঞ্জেও একটি উপ-নির্বাচন রয়েছে। সেখানেও কমিশনের মনোযোগ দিতে হবে। সব মিলিয়ে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারলে আমার ধারণা, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সফল হবে।
পূর্ববর্তী কমিশনের উপর সম্মান রেখেই বলছিÑ তারা সবসময় ঢাকায় থাকতেই পছন্দ করতেন। মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। এই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং ইতোমধ্যে কমিশন মার্চের প্রথম সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে যে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন রয়েছে, সেখানে তারা ছড়িয়ে পড়েছে। মাঠে উপস্থিত থেকে কাজ তদারক করার একটা আগ্রহ তাদের মধ্যে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নতুন নির্বাচনের অধীনে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। সেটি ছিল বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী নিজে উপস্থিত ছিলেন। এই যে একটা রীতি তারা চালু করেছেন, এটা অব্যাহত রাখা জরুরি। গত কমিশনের কাছেও বাবার আমরা একই আবেদনটি করেছিলাম। কিন্তু তা করা থেকে তারা বিরত ছিলেন।
পরিচিতি: চেয়ারম্যান, জানিপপ
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান