কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন প্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত : খালেদা জিয়া
কিরণ সেখ: বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে মানব জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সরকারে থাকতে এ দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠে- বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের পদক্ষেপে নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আজকের এই শুভ দিনে নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। বেগম জিয়া বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘উইমেন ইন দ্য চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক প্লানেট ৫০ : ৫০ বাই ২০৩০’ এর সফলতা কামনা করছি। সম্পাদনা: এনামুল হক