এরাই পরস্পরের ন্যায্যতার নিশ্চয়তা
ফিরোজ আহমেদ
অসৎ সমালোচনা সর্বদা হরেহরে সবাইকে এক কাতারে ফেলে তারপর তাকে শুলে চড়ায়। প্রগতিশীল রাজনীতির একদল সমালোচকদের প্রায়ই দেখি এমন সুরে কথা বলেন; এরা ধর্মের বিরুদ্ধে জিহাদে নেমেছে, এরা ভারত প্রশ্নে কথা বলে না ইতাদি ইত্যাদি। আরেক দলকে দেখি, তাদের সকল ম্যাৎকার এর সারমর্ম হলোÑ আওয়ামী লীগ থেকে দূরে গেলেই প্রগতিশীলরা পাকিস্তানপন্থি হয়ে যাবে।
আসল বিষয়টা যতদূর বুঝতে পারছি, এই উভয় শিবির থেকেই আক্রমণ বর্ষণের কারণ মাঠে একমাত্র আছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোই। গণতান্ত্রিক সংবিধানের দাবিতে, সার্বভৌম রাষ্ট্রনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির দাবিতে, জ্বালানি খাতসহ সর্বত্র লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার দালালির বিরুদ্ধে। কর্মসূচিহীন বাকিদের আক্রমণে তাই বিভ্রান্ত বা ভীত হবার কিছু নেই। এই মনোযোগ তখনই দিতে হয়, যখন আপনি মনোযোগ পাবার অধিকারী হন। হেফাজত-আওয়ামী লীগের পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার খেলা থেকে জনগণের মনোযোগ মুহূর্ত মাত্র যেন না সরতে পারে, তার জন্য বহু লোকই মরিয়া। এরাই পরস্পরের টিকে থাকার প্রাণভোমরা। এরাই পরস্পরের ন্যায্যতার নিশ্চয়তা।
এরপরও, সুনির্দিষ্ট সমালোচনাকে সততার সঙ্গেই নিতে শিখতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের সংশোধনও করতে হবে। একইসঙ্গে, অসৎ সমালোচনায় ভয়ের কিছু নেই। বর্তমান মুহূর্তে, এরা যে আপনার কর্মসূচিতে আক্রান্ত বোধ করছে, কেননা এদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার লোক দেখানো যুদ্ধÑ যার সঙ্গে জনগণের স্বার্থের ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। মানুষের মনোযোগ থেকে সরে যায় যথাযথ গণমুখী কর্মসূচিটি মাঠে আসা মাত্র।
লেখক: কেন্দ্রীয় সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন
ফেসবুক থেকে