১৩ বছর পর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি, নাজমা ও সম্পাদক অপু
আল হেলাল শুভ: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নাজমা আকতার ও অপু উকিল। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সংগঠনের দ্বিতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। ওই অধিবেশন সভাপতি পদে একজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শুধু একজনেরই নাম প্রস্তাব করেন কাউন্সিলররা। এ ছাড়া সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটিও নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণের প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরে সাবিনা আক্তার তুহিন সভাপতি ও তাহেরা খাতুন লুৎফাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমিন ঝুমা ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফা রহমান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৩ সদস্যদের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশন ছিলেন সংগঠনের গত কমিটির সহ-সভাপতি নার্গিস মাহতাব। এ ছাড়া আশরাফুন্নেসা পারুল ও ইসরাত সরকার ঝুমা নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। পরে সভাপতি পদে নাজমা আক্তারের নাম সমর্থন করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন। যা সমর্থন করেন সংগঠনের ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ তাহমিনা মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অপু উকিলের নাম প্রস্তাব করেন সংগঠনের নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া চৌধুরী। পরে তা সমর্থন দেন অন্য নেত্রীরা।
দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুর দিকে সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও জেলার কমিটি সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার। তিনি ওয়ার্ড কমিটি ৩১ থেকে ৪১, ইউনিয়ন কমিটি ৪১ থেকে ৫১, থানা কমিটি ৬১ থেকে ৭১, জেলা কমিটি ৮১ থেকে ৮৯ ও কেন্দ্রীয় কমিটি ২১২ সদস্য করার প্রস্তাব করেন। যা পরে কণ্ঠভোটে পাস করেন সম্মেলনের কাউন্সিলরা। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি ২১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ থেকে ৮ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭ থেকে ৮ জন ও সদস্য ৩১ থেকে ৫২ করা হয়।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০০৪ সালের ৫ মার্চ। তখন সভাপতি পদে আসেন নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় অপু উকিলকে। যারা দ্বিতীয় বারের নির্বাচিত হলেন। প্রতিষ্ঠার পর রাজপথে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় ছিল যুব মহিলা লীগ। সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে ১৬’শ কাউন্সিলর ও ১৬’শ ডেলিগেট অংশ নেন। সম্পাদনা: এনামুল হক