১৪ হাজার মানুষের দুর্ভোগ, ৪৫ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু
লালমনির হাট, প্রতিনিধি : সেতু না থাকায় দুর্ভোগে আছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটির ১৪ হাজার মানুষ। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়নি। বছর জুড়েই শিবেরকুটি বাসীকে বাঁশের সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়।
লালমনিরহাট রতœাই নদীর ওপর তৈরি বাঁশের সেতু সংসদ নির্বাচনের সময় বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও সেতু নির্মাণ করতে পারেননি জনপ্রতিনিধিরা। সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদের তার নির্বাচনী এলাকা শিবেরকুটি বাসীর চলাচলের জন্য রতœাই নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর (ডিও) আবেদন জানান। কিন্তু সেই চিঠিতেও কোনও কাজ হয়নি। বর্তমান সাংসদ আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদও প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেননি।
শিবেরকুটির বাসিন্দা রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা রশিদুল হক নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা অর্জন করে সরকারি চাকুরি পেয়েছি কিন্তু উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ভালো কোনও পরিবারে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারিনি। জীবনমান উন্নয়নের জন্য শেওড়ারতলে সেতুটি নির্মাণ করা জরুরি মনে করি।’
কুলাঘাট ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকাটি রতœাই নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এ এলাকার প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কাক্সিক্ষত জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় সহজে শিক্ষা-চিকিৎসা ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে পারছে না। এ জন্য দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, উপজেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সেতু নির্মাণের কথা একাধিকবার উপস্থাপন হলেও অজ্ঞাত কারণে আজও সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে শিবেরকুটিবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিন খান বলেন, ‘শিবেরকুটিতে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ মিলছে না।’
লালমনিরহাট-৩ (সদর উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত আবেদনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। রতœাই নদীতে সেতু নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা শাহীন আলম