আজ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাচ্ছে গণহত্যা দিবস
আনিসুর রহমান তপন: ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আজ অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আইন, ২০১৬ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে।
শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়।
অপরদিকে, সরকারি তফসিলভুক্ত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা উহার কোনো শেয়ার বা স্বত্বাধিকার বা অন্যকোনো অধিকার জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে সুবিধাজনক পদ্ধতি বা শর্তে কোনো করপোরেশন বা ব্যক্তির নিকট বিক্রয় বা অন্যবিধ হস্তান্তর করতে পারবে। আইনে এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আইন, ২০১৬-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যা আজ অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে অনুমোদিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে আইনে শর্ত দিয়ে বলা হয়েছে, বিক্রয় অথবা অন্যবিধ হস্তান্তরের পর চুক্তির শর্ত লংঘন বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য বিক্রয় ব্যতীত অন্যবিধ হস্তান্তর চুক্তি বাতিল করে সরকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফেরৎ নিতে পারবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার, ১৯৭২ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত করপোরেশনগুলোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। যদিও আইনটি সংসদে অনুমোদিত হওয়ার পর গেজেট জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালে জারি করা অর্ডারটি রহিত করা হবে বলে প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনকে প্রথম তফসিলে বর্ণিত পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনকে দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম তন্তুজাত দ্রব্যের মাধ্যমে সুতা ও বস্ত্র উৎপাদন সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনকে চতুর্থ তফসিলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে পঞ্চম তফসিলভুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এমনভাবে বহাল থাকবে যেন এসব এই আইনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
খসড়ায় প্রত্যেক করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকাতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদকে করপোরেশনের কাজ করার জন্য সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্ধারিত শর্তে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত ছয় জন পরিচালকের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা স্বীয় পদ ছাড়তে পারবেন। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রত্যেক করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী হবেন বলেও বলা হয়েছে খসড়াতে। ন্যূনতম চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে পরিচালনা পর্ষদের যেকোনো বৈঠকের জন্য কোরাম করার কথা বলা হয়েছে এবং সভায় প্রত্যেক পরিচালক একটি করে ভোট দিতে পারবেন বলা হয়েছে আইনের খসড়ায়। সম্পাদনা: এনামুল হক