যারা শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কথা বলে দেশ স্বাধীন না হলে তারা কী করতেন?
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যারা নেতিবাচক কথা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন না হলে তিনি কি প্রধানমন্ত্রী বা একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারতেন?
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়র কবীর আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং এই প্রসঙ্গে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করবেন, বিশেষ করে পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি রাষ্ট্র ঘোষিত বিষয়গুলোর বিরোধিতা বা চ্যালেঞ্জ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন করতে হবে। এ ধরণের বক্তব্য পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সংশয় তৈরি করে।
শাহরিয়র কবীর বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই ষড়যন্ত্রকারীরা ভেতরে ভেতরে এক হতে থাকে। তারপর তারা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে আবার পাকিস্তান কায়েমের পাঁয়তারা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করার চেষ্টা করে তারা। স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়। ধীরে ধীরে তারা তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস ও রাজনীতি বিমুখ করে তোলে। আর তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে সহযোগিতা করে বিএনপি। বিএনপি তাদের নিয়ে ক্ষমতা দখল করে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে এবং কয়েকজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। তখন বিএনপি নেত্রী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করেছে। এই সব যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে অবরোধ, অগ্নি সংযোগ করেছে এবং মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তারা। সম্পাদনা: রাশিদ