আসাদুজ্জামান আকাশ: জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি দেশটির আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচনে এঙ্গেলা মেরকেলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মার্টিন স্কালজকে নির্বাচিত করেছেন। বামপন্থি এ দলের নেতারা রোববার তাকে দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির দীর্ঘমেয়াদী চেয়ারম্যান সিগমার গ্যাবরিয়েল সরে দাঁড়ালে এ বছরের জানুয়ারিতে দলটির নেতারা অপ্রত্যাশিতভাবে মার্টিন স্কালজকে এ পদের জন্য মনোনীত করেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর স্কালজ বার্লিনের একটি বিশেষ সম্মেলনে বক্তৃতায় তার দলের ১৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি নির্বাচিত হলে শিক্ষা ও বিনিয়োগে বৃহত্তর বিনিয়োগ করবেন বলেও বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। ৬১ বছর বয়সী জার্মানির এ নেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করার পাশাপাশি তার সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারের জন্যও কাজ করবে।
স্কালজ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির একমাত্র প্রার্থী যিনি প্রতিনিধিদের শতভাগ ভোট পেয়ে এ পদটির জন্য নির্বাচিত হন। যা তার জন্য অভূতপূর্ব ফল। স্কালজ ভোটারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। জার্মানির বিল্ড এম সানআগে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক জনমত জরিপে দেখা যায় ৩২ শতাংশ মানুষ স্কালজের দলকে সমর্থন করে। জরিপে আরও দেখা যায় স্কালজের দল থেকে মেরকেলের দল মাত্র ১ পয়েন্ট এগিয়ে আছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্কালজ দেশটির রাজনীতিতে নতুন মুখ হওয়ায় ভোটারদের কাছ থেকে মেরকেলের থেকে বেশি সুবিধা পাবেন তিনি। স্কালজের পার্টির সদস্যরাও আশাবাদী তিনি মেরকেলকে নির্বাচনে পরাজিত করে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন। তবে ভোটারদের কাছে স্কালজ কতটুকু জনপ্রিয় তা প্রমাণ হবে পরের রোববার যখন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের ছোট রাজ্য সারল্যান্ডের ভোটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে একটি নতুন সরকার নির্বাচিত করতে।
তবে স্কালজের জনপ্রিয়তা নিয়ে চিন্তিত নন ফোর্বস ম্যাগাজিনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী ও দেশটির বর্তমান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল। ‘সারব্রিউসেকার জিউটিং’কে মেরকেল বলেন, ভোটারদের কাছে স্কালজ ও তার দলের জনপ্রিয়তা নিয়ে মোটেই অস্থির নন তিনি। প্রতিযোগিতা মানুষকে উৎসাহিত করে তুলে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে দেশটির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সাইবার আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য নিরাপত্তার জন্য ফেডারেল অফিসের সভাপতি (বিএসআই) আর্নি সোশেনবহেম। তিনি ওয়েল্টএম সন্তাগ সংবাদপত্রকে জানান, সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ইতিমধ্যে সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। তাই তারা নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দ্য ইনডিপেনডেন্ট ও বিবিসি, সম্পাদনা: রবিউল