চট্টগ্রামের দুই বাড়িতে পুলিশি অভিযান কিছুই পাওয়া যায়নি
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও শহীদুল ইসলাম (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকু- ছায়ানীড় ভবনের পর এবার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নগরীর দুটি বাড়িতে আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযানে কাউকে আটক বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বাড়ি দুটির মধ্যে কর্ণেলহাট (কাট্টলী) ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত পাঁচতলা বাড়িটি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক জিএম ঋশি সাহার মালিকানাধীন এবং সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতি শিক্ষা নিকেতনের পাশে অবস্থিত হক সাহেবের মালিকানাধীন ‘মমহ ভিলা’। গতকাল বিকাল চারটা থেকে সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলসহ পুলিশের দেড়শর উপর সদস্য বাড়িটি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান বলেন, সিডিএ এক নম্বর সড়কের অবস্থিত হক সাহেবের মালিকানাধীন ‘মমহ ভিলা’ এবং উত্তর কাট্টলী বাংলাবাজার (ইশান মহাজন সড়ক) এলাকায় শ্রী শাহ মালিকানাধীন একটি বাড়িতে ৪ তলা ভবনে জঙ্গিরা অবস্থান করছে এ তথ্যের ভিক্তিতে ঘেরাও করে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। তবে অভিযানে কাউকে আটক বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, সীতাকু-ের নামারবাজার এলাকার সাধনকুটির নামে বাড়ির জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক জঙ্গি আর্জিনা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নগরীর কর্ণেলহাট (কাট্টলী) ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় তাদের আরও সঙ্গীরা অবস্থান করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে এই তল্লাশি চালায় পুলিশ। এর আগে ১৫ মার্চ সীতাকু- পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধনকুটি থেকে এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ রোডের চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার বিকাল তিনটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০ ঘণ্টার এ অভিযানে ২০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। সম্পাদনা: এনামুল হক