শাহজালাল ভূঁঞা, ফেনী : গর্তে ভরা সড়ক। পিচ ঢালাইয়ের অস্তিত্ব নেই। গাড়ি চলার সময় ঝাঁকুনিতে উল্টে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা। প্রতিদিনই এমন কষ্ট করে চলতে হচ্ছে সোনাগাজী উপজেলার ডাকবাংলা থেকে বখতারমুন্সী সড়কের যাত্রীদের।
বখতারমুন্সী শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আদিব বিন আউয়াল ক্ষোভের সাথে বলেন, এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দেখে মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের লোকজন প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করলেও সংস্কারের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
শুধুমাত্র ডাকবাংলা থেকে বখতারমুন্সী সড়ক নয়, সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না করায় আন্ত:উপজেলা ও ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সড়কগুলোতে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। উপজেলার অতি ঝুঁকিপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে সোনাগাজী থেকে মুহুরী রেগুলেটর সড়ক, সোনাগাজী থেকে বহদ্দারহাট সড়ক, বখতারমুন্সি থেকে কাজীরহাট সড়ক, সোনাগাজী থেকে ওলামা বাজার সড়ক, ওলামাবাজার থেকে সওদাগরহাট সড়ক, সোনাপুর থেকে নবাবপুর সড়ক, মতিগঞ্জ থেকে ভোরবাজার সড়ক, কুঠিরহাট থেকে চিন্তারপুল সড়ক, কুঠিরহাট থেকে আবুবকর সড়কে করুণ দশা বিরাজ করছে।
সোনাগাজী থেকে মুহুরী প্রজেক্ট সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. জয়নাল আবেদিন জানান, রাস্তা ভাল থাকলে দিনে ১০-১৫ বার আসা যাওয়া করা যেত, এখন রাস্তা যেভাবে নষ্ট হয়েছে দিনে ৪-৫ বারের বেশি চলাচল করা যায় না। রাস্তার কারণে মুহুরী প্রজেক্টে পর্যটকের সংখ্যাও কমে গেছে। এতে চালকদের আয়ও হ্রাস পেয়েছে। আরেত চালক জানান রাস্তার দুরবস্থার কারণে অনেক সময় মাঝপথে গাড়ি বিকল হয়ে যায় ।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলায় ৪০৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৩১৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। ২৬৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং ২৪ কিলোমিটার ব্রিক সলিং সড়ক রয়েছে। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীনে, বাকী পাঁচশত ৯৪ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির অধীনে। এলজিইডি সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বলেন, সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর অধীনে সড়কগুলোর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান