সিলেটের জঙ্গি ও ক্রিকেট দুই নিয়েই উৎকণ্ঠায় ছিলাম : প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বজিৎ দত্ত: সিলেটে যেদিন জঙ্গি আস্থানায় অভিযান চলে সেইদিন শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ খেলছিল। দুটি ঘটনা নিয়েই ওই দিন উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এটাই জীবন একদিকে ক্রিকেট অন্যদিকে জঙ্গিদের উচ্ছেদ। গতকাল কৃিষবিদ ইনস্টিটিউিশন বাংলাদশে মলিনায়তনে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত গণহত্যা দিবস পালন না করে আবারও প্রমাণ করেছে তারা আলবদর দোসর।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর মিথ্যা কথা বলে গেছে ওরা (বিএনপি-জামায়াত)। আমি মনে করি, কে স্বাধীনতার ঘোষণা দিল, এই কথার এখন আর দরকারই নেই। আজকে সত্যটা স্পষ্ট। উচ্চ আদালত এটা নিয়ে রায় দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ককারীদের তিনি আখ্যায়িত করেন, পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়। তিনি বিএনপি ও জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, এদের চরিত্র সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে। এরাই জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এরা দেশের উন্নয়নকে বিশ্বাস করে না। দেশ যখন উন্নয়নের দিকে তখন এরা বাধার সৃষ্টি করছে। এরা উন্নয়ন না করে বিদেশ থেকে টাকা এনে নিজেরা খেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগে বিদেশে বাংলাদেশের পরিচয় ছিল চেয়ে মেগে খাওয়ার দেশ। আত্মসম্মান ছিল না। এখন বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়েছে। যাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের উপরে সেই ৫টি মর্যাদাশীল দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলনে, আমরা গণহত্যা দিবস প্রথমবারের মতো পালন করছি। জাতীয়ভাবে পালিত হয়েছে। আমরা কি দেখলাম, বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা দিবস পালন করল না। এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা বাংলার জনগণের সঙ্গে নেই, তারা রাজাকার-আলবদর-আল শামসের সঙ্গে আছে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাড়ির মালিকদরে উদ্দেশে তিনি বলেন, কাকে ভাড়া দিচ্ছেন, কাদের ভাড়া দিচ্ছেন তা ভালো করে জেনে-বুঝে দেবেন। না হলে ক্ষতি কিন্তু আপনাদেরই হবে।