হাওরের কান্না থামাতে এগিয়ে আসলো শিক্ষার্থীরা
পরাগ মাঝি: পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে একের পর এক ডুবে যা”েছ হাওর। ডুবে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন, ফসলের মাঠ। সন্তানের মতোই তিলে তিলে বড় করে তোলা ধানগাছগুলোর সলিল সমাধিতে বুক ফাটা কান্না ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই। করার মতো কেবল যা আছে তা হলো- পানি ঠেকিয়ে রাখতে কয়েকটি বাঁধের মেরামত। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এসব বাধের জীর্ণদশা। তাই ঢলের পানি যেন ধানক্ষেতে না ঢুকে পড়ে তার জন্য প্রতিবছরই কোদাল আর কলুই নিয়ে বাধ মেরামতে নেমে পড়ে কৃষকরাই। কিš‘ আগেভাগেই চলে আসা এবারের বাধভাঙা পানি ঠেকানোর সাধ্য আছে কার? তবে, অসহায় কৃষকরা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যেন অবশিষ্ট ফসলের মাঠগুলো রক্ষা করা যায়। রোববার তাদের সহযোগীতায় বাঁধ মেরামতে হঠাতই নেমে এসেছিলো একদল শিক্ষার্থী। হাওর সংলগ্ন মোহগঞ্জের সুখদেবপুর বানিয়াহারি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদিন কৃষকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে একটি বাধ মেরামত করে ফেলতে সক্ষম হয়। স্কুলের গর্বিত প্রধান শিক্ষক মুনজের তালুকদার সুজন আমাদেরসময় ডটকম’কে জানান, বিভিন্ন হাওর তলিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি তার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন এবং কিভাবে কৃষকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায় তা নিয়েও ভাবছিলেন। স্কুল থেকে চার কিলোমিটার দূরেই ছিলো ধূলিয়া গ্রামের নৌকাবান্ধা বাঁধ। পানির তোড়ে এটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেখানে ছুটে যান। ছাত্র-ছাত্রীরা ওই এলাকায় পৌঁছে কারো নির্দেশের অপেক্ষা না করেই কৃষকদের কেটে দেওয়া মাটি বহনের কাজ শুরু করে দেয়। বাধটি খুব গুরুত্বপূর্ন ছিলো। কারণ, এই বাধের উপরই নির্ভর করছিলো- সুখদেবপুর, বানিয়াহারি, কাশিপুর, নওগা, ধূলিয়া, পিরোজপুর এই গ্রামগুলোর ফসলি জমি।