দেশের স্বার্থে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে অসুবিধা কোথায় : কাদের
আল হেলাল শুভ: বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের স্বার্থ অক্ষুণœ রেখে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হলে তাতে অসুবিধা কোথায়। তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা হোক, সামরিক হোক, অসামরিক হোক, যেকোনো চুক্তিই হোক, আমার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, আমার জাতীয় স্বার্থ যদি সমুন্নত থাকে, যদি আমি এসব অক্ষুণœ রেখে চুক্তি করি, অসুবিধা কী? গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আমরা আমাদের নীতিগত দিক আমাদের স্বার্থের প্রশ্নে হিমালয়ের মতো। বাংলাদেশের স্বার্থ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার আগে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো চুক্তি কারও সঙ্গে করবেন না।
বিএনপির সমালোচনায় কাদের বলেন, তারা সবসময় কর্মসূচির হুমকি দিলেও তাদের কর্মসূচির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গত আট বছর তো দেখলাম, এই বছর না ওই বছর, রোজার ঈদ, কুরবানির ঈদ দেখলাম না তো কোনো আন্দোলনে তারা সফল হয়েছে। তারা কিছু করতে পারবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গঙ্গা চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় যেহেতু হয়েছে, সেহেতু তিস্তা নিয়েও আমি আশাবাদী। তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, আরও হবে। এটা ম্যাটার অব টাইম। এটা এমনও হতে পারে এখন না কিছুদিন পরেও হতে পারে। তাদেরও (ভারতের) কিছু অভ্যন্তÍরীণ ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি যথেষ্ট হয়েছে। চুক্তি সম্পাদন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ এপ্রিল তিনদিনের সফরে দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানে তার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে, যার মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক চুক্তিও রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এর সমালোচনায় বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। সম্পাদনা: শিমুল মাহমুদ