মানব উন্নয়ন সূচকে ৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
সাইদ রিপন: পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে। ২০১৫ সালের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৮ দেশের মধ্যে ১৩৯-এ, ২০১৪ সালে যা ছিল ১৪২। তবে বাংলাদেশ এখনো মধ্যম মানব উন্নয়ন দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ৭৩তম অবস্থান নিয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সারিতে রয়েছে। এছাড়া মালদ্বীপ ১০৫, ভারত ১৩১ এবং ভুটান ১৩২ স্থানে রয়েছে।
গতকাল শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এই তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এসডিজির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, জিইডি সদস্য ড. শামসুল আলম, জিইডি প্রধান নাকিব বান মাহবুব।
ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচক নির্ণয়ে মূল মানদ- হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিক্ষা ও মাথাপিছু জাতীয় আয়। যেসব দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বেশি, শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নত ও মাথাপিছু আয় বেশি, সেসব দেশ এ সূচকের তালিকার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। সূচকে সবার শীর্ষে রয়েছে নিশীথ সূর্যের দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও ডেনমার্ক।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির পরিচালক ড. সেলিম জাহান। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি বছরই বাংলাদেশের পয়েন্ট বাড়ছে। ১৯৯০ সালে ছিল দশমিক ৩৮৬, ২০১৫ সালে এসে বেড়ে দশমিক ৫৭৯তে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ১.৬৪ শতাংশ। যেখানে ভারতের ১.৫২ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম। যেখানে অবস্থান ঘানা ১৩৯, নেপাল ১৪৪, মিয়ানমার ১৪৫, কেনিয়া ১৪৬ এবং পাকিস্তানের ১৪৭। অন্যদিকে লিঙ্গ সমতা সূচকে ১৫৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯। যেখানে ভারতের ১২৫, পাকিস্তান ১৩০, নেপাল ১১৫।
ড. সেলিম জাহান বলেন, এখন বিশ্বে শিশু জন্মদানের সময় প্রতি ঘণ্টায় ২৫ জন মা মারা যাচ্ছে। আমাদের মানব উন্নয়ন ঘটাতে হবে মানের ভিত্তিতে। সংখ্যাকে অগ্রাধিকার দিলে হবে না। তিনি বলেন, এই সূচকে বাংলাদেশ ভালো করছে। মানব উন্নয়ন কোনো ড্রিম নয়, এটা বাস্তবতা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাঁচটি প্রভাবশালী দেশের কারণে বিশ্বে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে । এসব দেশ ৫৫ শতাংশ কার্বনডাই অক্সাইড সৃষ্টি করছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবারজনিত ঝুঁকি আমাদের সবাইকে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অর্জনগুলো অনেক ভালো। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে যে অর্জনগুলো করেছি সেগুলো এসডিজির ওপর প্রভাব পড়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক