শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুর্নবাসন সংস্থা খুলনারমতবিনিময় সভায় এ কথা জানান খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি একটি মহতী উদ্যোগ। ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম শুরু হয়। ভিক্ষাবৃত্তি একটি অপরাধ, ভিক্ষা দিয়ে আমরা ভিক্ষুক সৃষ্টি করছি। ভিক্ষা না দিলে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে যাবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী খুলনা বিভাগের এ মহতী উদ্যোগে সন্তুষ্ট হন এবং ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচিকে জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে খুলনা জেলায় ৩ হাজার ৪৯২জন ভিক্ষুককে সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩হাজার ৩৪জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। বাকী ৪৫৫ জনকে পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে দিঘলিয়া, দাকোপ ও কয়রা উপজেলা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলাগুলো আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত করে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে।
মতবিনিময় সভায় জুম্মার খুতবায় ইমামদের ভিক্ষা বৃত্তি থেকে নিরুৎসাহিত করতে আলোচনা করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইমাম, মসজিদ-মন্দির কমিটির সভাপতির সাথে সমন্বয় সভা করা, খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি প্রচারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া পুনর্বাসিত ভিক্ষুকেরা যাতে পুনরায় এ পেশায় ফিরে না আসে সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখাসহ জুম্মার দিন বিভিন্ন মসজিদের সামনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, সুশীল সমাজের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান