করাচিতে পাহাড়ের পাথর ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
জাহিদ আল রাফি: পাকিস্তানের করাচিতে পাহাড়ের পাথর ভেঙ্গে ঘরে পড়ায় একই পরিবারের ৫ জন সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি। করাচির পুলিশ এসপি আসিফ রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটের দিকে করাচির বালদিয়া শহরের গুলশান-ই-গাজী এলাকায় পাহাড়ের পাথর ভেঙ্গে একটি বাসভবনের উপর পরে। এতে ঘটনাস্থলেই বাড়ির মালিক জামির গুল (৪৫), তার স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ নিহত হন। গুলের বাকি তিন কন্যা সন্তান মুসকান, রোমা ও জোহরা গুরুত্বর আহত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত করাচির সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পশ্চিম পাকিস্তানের জেলা প্রশাসক আসিফ জামিল জিও নিউজকে জানান, পাহাড়ের উপরে বসবাস সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আরো বলেন, এখানে অবৈধভাবে বসবাসরত বাসিন্দারাই এমন মর্মান্তিক দূঘটনাগুলোর জন্য দায়ী। জিও নিউজ, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ
আত্মহত্যা রুখতে নয়া সিলিং ফ্যান
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা? না সে চেষ্টায় আর কাজ হবে না। তৈরি হয়ে গিয়েছে অ্যান্টি সুইসাইড সিলিং ফ্যান রড। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে গেলেই দড়ি সমেত মাটিতে পড়বেন। প্রায় ১২ বছর ধরে গবেষণা করে এই সেফটি রড তৈরি করেছেন মুম্বইয়ের মালাডের বাসিন্দা শরদ আশানি। ২০০৪-এ মডেল নাফিসা জোসেফের আত্মহত্যার খবর জানার পরেই এই বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিজের কারখানায় এই সেফটি রড তৈরি করাও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আজকাল
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরে প্রায় ১লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেন। তার মধ্যে ৬০ হাজার মানুষ সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। আসানির দাবি, তাঁর তৈরি করা এই সেফটি রড দিয়ে সিলিংফ্যান ঝোলানো থাকলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচবে। ইতিমধ্যেই নিজের আবিস্কারের জন্য পেটেন্টের আবেদন জানিয়েছেন আশানি। তাঁর দাবি এই রডে একধরনের স্প্রিং থাকে যা ফ্যানের এবং আত্মহত্যাকারীর কোনও ক্ষতি না করেই তাঁকে মাটিতে নামিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই ১০০টি সেফটি রড তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। মাসে ১০ হাজার সেফটি রড তৈরি করতে সক্ষম তাঁর সংস্থা। শহরের বিভিন্ন হস্টেলে এই রড বিনামূল্যে দান করেছেন আসানি। বিভিন্ন সিলিং ফ্যান প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছেও এই সেফটি রড ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মাত্র ২৫০ টাকা খরচ করলেই পেয়ে যাবেন এই আসানির অ্যান্টি সুইসাইড সেফটি রড। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ