জেলেদের জন্য চালু হচ্ছে ‘ইলিশ ব্যাংক’
ডেস্ক রিপোর্ট : মহাজন ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমিয়ে ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেদের জন্য নতুন একটি ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত ‘ইলিশ ব্যাংক’ থেকে জাল-নৌকা কিনতে এমনকি সারাবছর সংসার চালানোর জন্য সহজ শর্তে ঋণ পাবেন জেলেরা। চলতি বছর ইলিশ ধরা মৌসুম শুরুর আগেই ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বছরের মার্চ-এপ্রিলে নদীতে ডিম ছাড়ে ইলিশ। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা সংরক্ষণে এই দু’মাস পদ্মা-মেঘনার ৫টি অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। তবে পেটের দায়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরেন অনেক জেলে। তাদের দাবি, শুধু জীবিকা নয়, জাল ও নৌকা কিনতে মহাজনদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধের চাপেও আইন ভাঙ্গেন তারা। ইলিশের ওপর নির্ভরশীল এসব জেলের জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এবার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ‘ইলিশ-ব্যাংক’। বিশেষায়িত এই ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন জেলেরা।
এদিকে একটা সময় হারিয়ে যেতে বসেছিলও বাঙ্গালি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই রূপালি ইলিশ। তবে সরকারি পদক্ষেপ ও জেলেদের সচেতনতায় গত দেড় দশকে দেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে জেলেদের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক চালুর পদক্ষেপ ইলিশের উৎপাদনকে আরো টেকসই করবে বলে মনে করেন গবেষকরা।
চাঁদপুর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুল রহমান বলেন, ইলিশের সঙ্গে জীবন-জীবিকার সঙ্গে যারা জড়িত ‘ইলিশ-ব্যাংক’-এর মধ্য দিয়ে তারা যদি ঋণ পায় তাহলে তারা অনেক লাভবান হবে। তাহলে ইলিশ উৎপাদনটা অনেক টেকসই হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে ২০-২৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইলিশের উপর নির্ভরশীল। দেশের মৎস্য খাতে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। আর জিডিপিতে রূপালি ইলিশের অবদান ১ শতাংশের মতো। যতো দ্রুত সম্ভব ইলিশ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। সূত্র : সময় টিভি