আশিস গুপ্ত, নতুন দিল্লি: সাবেক ভারতীয় নৌ সেনা কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবকে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ফাঁসির সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। আর তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হলে তা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত খুন বলেই চিহ্নিত হবে।’
দিল্লির তরফ থেকে বলা হয়েছে ,‘২০১৬’-র প্রথমদিকে কুলভূষণ যাদবকে ইরান অপহরণ করা হয়। তারপর ৩মার্চ তাকে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে পাকিস্তান পুলিশ। ২৫ মার্চ ,২০১৬ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৭-র মধ্যে অন্তত ১৩ বার কুলভূষণ যাদবকে আইনি সুযোগ-সুবিধা দেবার জন্য ভারতের পক্ষ পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।’
এরপর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সালমন বাসিতকে ডেকে পাঠিয়ে ভারত তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছে। বাসিতের উপস্থিতিতেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর নির্দেশ দেন যাদবের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ভুয়া বলে বিবৃতি জারি করতে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই মামলায় আইনের পথ অনুসরণ করা হয়নি।
সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয়নি ভারতীয় হাইকমিশনারকেও।
সোমবার পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস-এর (আইএসপিআর) পক্ষ বলা হয়েছে, ‘সেনা আদালতে পাকিস্তানি আইনে ওই গুপ্তচরের বিচার হয়েছে। তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে।’
ভারত আগেই জানিয়েছে কুলভূষণ যাদব একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌ সেনা কর্মকর্তা। তিনি সরকারের কোনো কাজে যুক্ত ছিলেন না। তার সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েছে দিল্লি। পাকিস্তান অনুমতি দেয়নি। ইরান বালুচিস্তান ঢোকার পরে তাকে গত বছর ৩ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তান পুলিশ। তাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের আবেদনের দাবি বারবার খারিজ করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ অভিযোগ করেছিলেন, ‘কুলভূষণ ধ্বংসাত্মক এবং জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত।’ তার ওই বক্তব্যের সমর্থনে গত বছর মার্চ মাসে যাদবের ভিডিও কনফারেন্স আয়োজন করে ইসলামাবাদ। যাতে দোষ স্বীকার করে কুলভূষণ নাকি বলেছে, ভারত বালুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত রয়েছে। কুলভূষণ যাদবের নামে ইস্যু করা পাসপোর্টটিতে হুসেন মুবারক প্যাটেলের নাম লেখা ছিল। সম্পাদনা: মাছুম বিল্লাহ