মঙ্গল শোভাযাত্রা : বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য
তারিক হোসেন মিঠুল
সংস্কৃতি/কৃষ্টি/(ঈঁষঃঁৎব) কালচার শব্দের আভিধানিক অর্থ চিৎপ্রকর্ষ বা মানবীয় বৈশিষ্ট্যের উৎকর্ষ সাধন। ইংরেজি ঈঁষঃঁৎব-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি বাংলায় প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯২২ সালে । সংস্কৃতি হলো কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, জীবিকা, নাচ, গান, সাহিত্য, নাটক, সম্পর্ক, ধর্মীয়ও সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদির অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম। এসব বিষয়কে মূলত দুভাগে ভাগ করা যায়। যার একভাগ নিত্যদিনকার জীবনযাপনের সঙ্গে আর অন্যভাগ জীবন উপভোগের ব্যবস্থা এবং উপকরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সংস্কৃতিবান প্রাণী। সংস্কৃতি হলো টিকে থাকার কৌশল। মানুষের এই কৌশল ভৌগোলিক, সামাজিক, জৈবিকসহ নানা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল। পূর্বসূরিদের যে কৌশল ছিল তা তাদের উত্তরসূরিরা পেয়ে থাকে। সময় ও যুগের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ কিছু নতুন কৌশল সৃষ্টি করে যা পূর্বের ঐতিহ্যকেও লালন করে থাকে। তাই বলা যায় সংস্কৃতি একদিকে যেমন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অন্যদিকে তা অর্জিতও বটে।
বৈদিক, বৌদ্ধ, জৈন এবং ইসলাম ধর্মের মতো ধর্মের উৎপত্তি-স্থান থেকে বঙ্গভূমি বহু দূরে অবস্থিত। এসব ধর্মের সঙ্গে স্থানীয় ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আচারের সমন্বয় ঘটেছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ধর্মীয আচার-অনুষ্ঠান এবং সামাজিক রীতিনীতির বেশকিছু মিল লক্ষ্য করা যায়। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষত পশ্চিম বাংলায় ব্যাপকভাবে বর্ষবরণ উৎসব উদ্যাপিত হয়। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিল্প ও লোকজ্ঞান; পিঠা, পায়েস, গান, নাচ, সাজসজ্জাÑ সবকিছুকে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজন হয় এ মহোৎসবের। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অংশ নেয়, আনন্দ করে এ উৎসবকে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই আনন্দোৎসবের মহাকাব্যে গত শতকের শেষ দিকে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে প্রবর্তিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রার। এ আনন্দ শোভাযাত্রায় সাজসজ্জার নানান উপকরণ একে একে যুক্ত হতে শুরু করে।
১৯৬৭ সালর পহেলা বৈশাখ থেকে ঢাকার রমনা পার্কে ছায়ানট-এর সঙ্গীতানুষ্ঠান বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে শুরু করে। প্রতি বছর এর কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বর্তমানে সমগ্র রমনা, শাহাবাগ, শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এমনকি ধানমন্ডির রবিন্দ্র সরোবর ও আশপাশের লেক এলাকায় এ উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ নর-নারী, শিশু- তরুণ-যুবক-বৃদ্ধ সবাই এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ও অংশগ্রহণ করতে আসেন ভোর বেলাতে। সারাদিনের এই আনন্দঘন উৎসবে থাকে নানান আয়োজন। বসে হরেক রকম জিনিষের মেলা। থাকে পান্তা, মরিচ, পেঁয়াজ, ভর্তা-ভাজি আর জাতীয় মাছ ইলিশের আয়োজন। সব মিলে পরিবেশটাই অন্যরকম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা মানুষকে নিবিড়ভাবে আকৃষ্ট করতে থাকে এবং নাগরিক আবহে সার্বজনীন পহেলা বৈশাখ উদযাপনে যুক্ত হয় এক নতুন মাত্রা।
১৯৮৬ সালে যশোরের চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরনো বাদ্যযন্ত্রসহ আরও অনেক শিল্পকর্ম। প্রথম বছরেই এই শোভাযাত্রা আলোড়ন তোলে। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৮১ সালে সামরিক জান্তা এরশাদ ক্যু করে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সামরিক শাসন জারি করে। এরশাদ সামরিক স্বৈরাচারের শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য ও শান্তির বিজয় কেতন উড়িয়ে সকলের মঙ্গল কামনায় এবং অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকম-লী ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় এ শোভাযাত্রা আয়োজন করেন। সামরিক স্বৈরাচারের পতন, দেশ ও জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি আর উত্তরোত্তর অগ্রগতি, মানুষে মানুষে বৈষম্য বিলোপ তথা সাম্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং অশুভকে বিনাশ করে শুভশক্তির উদয়ের আকাক্সক্ষা থেকে এ আায়োজন চলতে থাকে। শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম পুতুল, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিচিত্র মুখোশ ও সাজসজ্জাসহ বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরের বছরও চারুকলার সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। তবে সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী সে বছর চারুশিল্পী সংসদ নববর্ষের সকালে চারুকলা থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করে। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। চারুকলার শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীগণসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। শুরুতে চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। সে সময়ের অংশগ্রহণকারী ও সমসাময়িক পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তখন একে বলা হতো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সাল থেকে এ শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। প্রতিবার শোভাযাত্রাকে নতুন নতুন সাজে এর সৌন্দর্য ও পরিধি বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এভাবে এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসেবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই শোভাযাত্রা যেহেতু সবার মঙ্গল কামনায় হয়, তাই একে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে অভিহিত করা হয়। ঢাকার সাধারণ নাগরিকেরা এবং রাজনৈতিক সচেতন মহল এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রায় ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হন। সেই থেকে এ উদ্যোগ প্রতি বছর অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়সহ এসব উপকরণ, বিভিন্ন মুখোশ ও প্রাণীর প্রতিকৃতিসহ হাজারো মানুষ যোগ দেন বৈশাখের প্রথম সূর্যোদয়ের সাক্ষী হতে। এই শতাব্দীর শুরুতে, ২০১০ সাল থেকে সকল জেলায় এবং বেশকিছু উপজেলায় এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র আয়োজন করা হয় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। ফলে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশের নবতর সর্বজনীন সংস্কৃতি হিসেবে।২০১৬ সাল থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নববর্ষ উদযাপনের জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ উৎসব ভাতা প্রদান করছে এবং দেশের সকল বাণিজ্যিক, সেবামূলক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এই নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা প্রেরণ করেছে। ২০১৭ সাল থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র আয়োজন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
২০০৫-০৬ অর্থবৎসরে সরকার বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা প্রণয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। এশিয়াটিক সোসাইটিকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের সুপারিশক্রমে ১২ খ-এ প্রকাশিত এই তালিকা তথা সমীক্ষা প্রতিবেদনের ১১শ খ-এ পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে প্যারিসে অবস্থিত ইউনেস্কোর সদর দফতরে আবেদন করেছিল যে, বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হোক। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ অশুভ শক্তির বিরূদ্ধে শান্তি, গণতন্ত্র ও জাতিসত্তার ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিগণিত। ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ মাধ্যমে অপশক্তির অবসান এবং বাংলাদেশের মানুষ কল্যাণময় ভবিষ্যতের আশা ব্যক্ত করে চলেছে। ইতোপূর্বে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বাউল গান ও ২০১৩ সালে জামদানি বয়ন শিল্প ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, সিলেটের শীতল পাটি বয়ন শিল্পকে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছে যা বিবেচনাধীন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর ২০১৬ আমাদের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর গুরুত্বপূর্ণ অধরা বা ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবাতে অনুষ্ঠিত ২৮ নভেম্বর, ২ ডিসেম্বর ২০১৬ অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সংশিষ্ট আর্ন্তজাতিক পর্ষদ (ওঘঞঊজএঙঠঊজঘগঊঘঞঅখ ঈঙগগওঞঞঊঊ ঋঙজ ঞঐঊ ঝঅঋঊএটঅজউওঘএ ঙঋ ঞঐঊ ওঘঞঅঘএওইখঊ ঈটখঞটজঅখ ঐঊজওঞঅএঊ) বাংলাদেশের প্রস্তাবনাটি (ঘড়সরহধঃরড়হ ভরষব হড়. ০১০৯১) অনুমোদন করে।
তথ্যসূত্র: এক. ঐধনরন, ঐধৎড়ড়হ। ‘উৎধসধঃরপ ফধহি’। ঞযব ঐরহফঁ। ২০১৬-১১-৩০। দুই. ‘গধহমধষ ঝযড়নযধলধঃৎধ’ ‘ভড়ৎ ৎবসড়ারহম বারষ’। নফহবংি২৪.পড়স। ২০১৬-১১-৩০। তিন. ‘টঘঊঝঈঙ ৎবপড়মহরংবং গধহমধষ ঝযড়নযধলধঃৎধ ধং পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব’। ঞযব উধরষু ঝঃধৎ। ২০১৬-১১-৩০। ২০১৬-১১-৩০। চার. ‘২০১৬ ৩০’। ঁহবংপড় ড়ভভরপরধষ ংরঃব। ২০১৬-১১-৩০। ২০১৬-১১- ৩০। পাঁচ. আ দ, দ আ, ১৪ ২০০৮। ছয়. দ, দ, ১৬ ১৯৮৯ ৭। সাত. দ, দ, ১৭ ১৯৯০ ২। আট. দ আ, ১৬ ১৯৯৬ ২। নয়. ৩১ ২০০৯। দশ. ‘টঘঊঝঈঙ ৎবপড়মহরংবং গধহমধষ ঝযড়নযধলধঃৎধ ধং পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব’। ঞযব উধরষু ঝঃধৎ। ২০১৬-১১-৩০। ২০১৬-১১-৩০। এগার. ‘২০১৬ ৩০’। ঁহবংপড় ড়ভভরপরধষ ংরঃব। ২০১৬-১১-৩০। ২০১৬-১১- ৩০। বারো. দ ০১০৯১ ১৩. : গধহমধষ ঝযড়নযধলধঃৎধ রং ধ ভবংঃরাধষ ভড়ৎ ঃযব ঢ়ঁনষরপ ঃযধঃ পবষবনৎধঃবং চধযবষধ ইধরংযধশয (ঘবি ণবধৎ’ং উধু) ড়হ অঢ়ৎরষ ১৪, ড়ৎমধহরুবফ নু ংঃঁফবহঃং ধহফ ঃবধপযবৎং ড়ভ উযধশধ টহরাবৎংরঃু’ং ঋধপঁষঃু ড়ভ ঋরহব অৎঃ. ঞযব ঃৎধফরঃরড়হ নবমধহ রহ ১৯৮৯ যিবহ ংঃঁফবহঃং, ভৎঁংঃৎধঃবফ নু ষরারহম ঁহফবৎ সরষরঃধৎু ৎঁষব, ধিহঃবফ ঃড় নৎরহম ঃযব পড়সসঁহরঃু যড়ঢ়ব ভড়ৎ ধ নবঃঃবৎ ভঁঃঁৎব. ওঃ ভবধঃঁৎবং ভষড়ধঃং ধহফ সধংশং ংুসনড়ষরুরহম ংঃৎবহমঃয, ঢ়বধপব ধহফ ধ ফৎরারহম ধধিু ড়ভ বারষ ঃড় ধষষড়ি ভড়ৎ ঢ়ৎড়মৎবংং. ডরঃয শহড়ষিবফমব ড়ভ ঃযব বষবসবহঃ ংযধৎবফ নু ঃযব ংপযড়ড়ষ, রঃ ঢ়ৎড়সড়ঃবং ঢ়ঁনষরপ ংড়ষরফধৎরঃু
লেখক: সমাজকর্মী
সম্পাদনা: আশিক রহমান