ব্র্যাকের সেমিনারে বক্তারা মালিকের লোভ ও উদাসিনতার ফল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি
জাফর আহমদ : ২০১৩ সালের ২৪ মে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল না। এটা ছিল মানুষ সৃষ্ট দুর্ঘটনা। ভবন মালিক ও গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের লোভ ও উদাসিনতার ফলে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটে। গতকাল ব্র্যাক সেন্টারে সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার আগের দিন রানা প্লাজার ভবন থেকে ব্রাক ব্যাংকের কাগজপত্র ও সরঞ্জমাদি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ওইদিন শ্রমিকরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঢুকতে চাননি। কিন্তু কর্মে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না, বেতন আটকে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। বাধ্য হয়ে কর্মী কাজে যোগ দেয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের ঘুম ভাঙানোর কল ছিল। এটি না ঘটলে হয়তো গার্মেন্টস সেক্টরে বর্তমানে যে সংস্কার হচ্ছে তা হতো না।
ব্র্যাাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো আনোয়ার হোসেন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, রানা প্লাজা ক্লেইমস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিনিয়র ক্লেইমস পর্যবেক্ষক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা : এনামুল হক