২৫ আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১ সদস্যসহ বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর আত্মসমর্পণ
আজাদ হোসেন সুমন : সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর অপরাধী ইলিয়াস ও মজনু বাহিনী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল দুপুরে মংলাবন্দরের বিএফডিসি জেটিতে ১১ বনদস্যু ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২০টি গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশের দাবি অব্যাহত অভিযানের মুখে সম্প্রতি বেশকিছু বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তারা সুন্দরবন এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়ার একপর্যায়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সম্প্রতি র্যাব সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০০ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে এবং ২০০ দস্যুকে আটক করে। ফলে এর আগে মাস্টার বাহিনী পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় মজনু ও ইলিয়াস বাহিনী গতকাল আত্মসমর্পণ করে।
যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য সহায়তা করা হবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আত্মসমর্পণকারী দস্যু মজনু ও ইলিয়াস, ভুল বুঝতে পেরে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুরো বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও দস্যুমুক্ত করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা কোনো জায়গায় সন্ত্রাস ও দস্যুতা করতে দেব না। এ জন্য পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দস্যুদের আশ্রয়দাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনে যারা দস্যুতা করত, তারা তাদের কৃতকর্মের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিজ্ঞা করেছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে কাজকর্ম করতে পারে। আর যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের প্রতি তিনি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনা ও বাগেরহাট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম