কমলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আতঙ্কে নারীর মৃত্যু
স্বপন কুমার দেব ও সোহেল রানা, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতে আকস্মিক সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি ইউনিয়নে দেড় শতাধিক কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সময় চোখের সামনে গাছ ভেঙে পড়ছে দেখে আতঙ্কে স্ট্রোক করে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। একটি চা বাগানে দেয়াল চাপায় এক চা শ্রমিকের একটি গরুও মারা গেছে।
ঝড়ে ইসলামপুর, আদমপুর ও মাধবপুর ইউনিয়নে সহ¯্রাধিক ছোট বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। দুটি ইউনিয়নে ১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। ঘুর্ণিঝড়ে আহত হয়েছেন কমপেক্ষ ১৫ জন। ঘূর্ণিঝড়ে রাস্তার উপর একাধিক গাছ উপড়ে পড়লে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ-পাত্রখোলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
শুক্রবার রাতে আকস্মিকভাবে আকাশ কালো হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর, আদমপুর ও মাধবপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এ ঘূর্নিঝড়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের চাম্পারায় চা বাগান, কুরমা চা বাগান, কোণাগাঁও, শ্রীপুর, নয়াবাজার, আদমপুর ইউনিয়নের তেঁতইগাঁও, মধ্যভাগ, নঈনারপার, হেরেঙ্গাবাজার ও মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর বাজার এলাকা, পাত্রখোলা চা বাগান ও ধলই চা বাগান এলাকায় দেড় শতাধিক কাঁচা ঘর সম্পূর্ণরুপে ভেঙে গেছে। অনেক ঘরের চাল উড়ে গাছেল উঁচু ডালে গিয়ে আটকে গেছে। আবার অনেক ঘর মাটির সাথে মিশে গেছে। আবার আরও প্রায় দুই শত ঘর আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝড়ের সময় চোখের সামনে একটি বড় গাছ ভেঙ্গে পড়তে দেখে আতঙ্কে ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আছকন মিয়ার স্ত্রী সাহেরা বিবি (৫০) ঘটনাস্থলেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন শ্রমিক বস্তির শুকুয়া রিকিয়াশনের ঘরের দেয়াল চাপায় তার একটি গরু মারা গেছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান