প্রিয়াংকা পান্ডে : কোরীয় উপদ্বীপের উপর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে মহড়া দিতে বি ওয়ান-বি ল্যান্সার স্ট্রাটেজিক মার্কিন বোমারু বিমান ওড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতির তুলনা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার মতে, ‘ বিমানগুলো তাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের উস্কানি অব্যাহত থাকলে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলা চালাবে।’ সম্প্রতি প্রদর্শিত মার্কিন বি ওয়ান-বি বিমানটি ২৪টি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এবং এটি যথেষ্ট শক্তিশালী।
এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুন সাং গিউন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার উস্কানি ও আরেকটি সম্ভাব্য পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে দেশটিকে বিরত রাখতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এ বিষয়ে জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ওই বিমান দুটি গুয়াম দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে নিয়ে গেছে।’
যদিও উত্তর কোরিয়া বলেছে, ‘যে সময় মহড়া চালানো হলো তখন ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যুদ্ধবাজরা নিজেরাই উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলা চালানোর চেষ্টা শুরু করেছে। নিশ্চয়ই যুদ্ধ বিমানগুলো তাদের উপরই বড় ধরনের স্থাপনায় পারমাণবিক বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘এমন ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক উস্কানি কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে একটি পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
বেশ কিছুদিন ধরেই কোরীয় উপদ্বীপজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চাপ অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়া ৬ বারের মতো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানো সম্ভাবনা থেকে এই উত্তেজনার সৃষ্টি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গত সোমবার এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার তরুণ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে ‘সম্মানিত’ বোধ করবেন তিনি।’ ভয়েস অব আমেরিকা, সম্পাদনা : এম রবিউল্লাহ