মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে রয়েছে প্রতিবন্ধকতাও
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
অ্যামনেস্টির রিপোর্টের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা। এই ৫৭ ধারার কারণে একটা আইনি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে এ আইনের অধীনে একজন অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক, যিনি শারীরিকভাবে পঙ্গু, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সমলোচনার মুখে সরকার এই কাজটি থেকে বিরত থাকে। তাই এই ৫৭ ধারাটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করা দরকার, তা না হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না। তবে একেবারে পরিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা নেই তা বলব না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু ওই বিশেষ আইনটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং এটা অবিলম্বে বিলুপ্ত করা দরকার।
স্বৈরাচার আমলে যে ধরনের বাধা ছিল মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে, সেটা এখন আর নেই। তবে পরোক্ষভাবে আইনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সেদিক থেকে আমার দাবিটি স্পষ্ট। আমি চাই যে, এই ধারাটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করা হোক। বলা হয়ে থাকে, জনমত স্রষ্টার মত এবং সেটাই গণতন্ত্রের মূলকথা। গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ সমলোচনার অধিকার না থাকলে সরকার কখনোই ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবে না। সমলোচনা মানেই সরকারের সমলোচনা নয়। সরকার গৃহীত নীতি এবং কর্মকা-ের সমলোচনা, যার অধিকার সবার থাকতে হবে এবং সেই অধিকারহীনতায় গণতন্ত্র বিপন্ন হতে বাধ্য। সেই বিচারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেকটাই সীমিত এবং খ-িত।
পরিচিতি: ইতিহাসবিদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান