পিঙ্ক ছবির বাংলাদেশি ঘটনা বনানীর ধর্ষণ মামলা
বিশ্বজিৎ দত্ত : ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ, মহিলাদের কটূক্তি এই সংস্কৃতির বলি হলেন আরও দুই ছাত্রী। দেশে এই সংস্কৃতি ক্রমে বাড়ছে। এক্ষেত্রে ধর্ষিতা দুই ছাত্রীকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ তারা প্রতিবাদ করেছে। সামাজিক ভয়ে অস্ত্রের ভয়ে তারা কিছু দিন চুপ করেছিলেন। অবশেষে নির্ভয়া হলেন তারা। মামলা করলেন থানার বারান্দায় ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করে। বণানীর ধর্ষণের এই ঘটনাটি অনেকটা বোম্বের পিঙ্ক ছবির মতো। অর্ধ পরিচিত প্রভাবশালী বন্ধুদের হাতে ধর্ষিত হওয়ার পর ছবির নায়িকা যেভাবে পুলিশের হাতে প্রভাবশালীদের কাছে নির্যাতিত হন সেই গল্পই উঠে এসেছে সিনেমাটিতে। বৃদ্ধ অ্যাডভোকেট অমিতাভ বচ্চনের আদালতে শেষ সংলাপ নো মিনস নো। অর্থাৎ অসম্মতিতে যৌন সংসর্গ ধর্ষণ। আদালত সাজা দিয়েছিল ধর্ষকদের।
বনানীতে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তাহলো, দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৮ মার্চ তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যিনি, তার সঙ্গে এই দুই ছাত্রীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাদের পুরনো এক বন্ধু। এরপর বনানীর একটি চার তারকা হোটেলে নিজের জন্মদিনের পার্টিতে ওই দুজনকে অনেক অনুরোধ করে নিয়ে আসা হয়। সেই হোটেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কক্ষ ভাড়া করা ছিল। পার্টি শেষে ওই দুই ছাত্রীকে মূল অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা কক্ষ দুটিতে আটকে ফেলেন। প্রধান আসামি ও তার এক বন্ধু দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন মূল অভিযুক্তের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক। অভিযোগকারী এক ছাত্রীর দাবি, তাদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন আসামির গাড়িচালক। এ ঘটনা ঘটেছে মাস খানেকের বেশি আগে। আর এ নিয়ে মামলা হয়েছে গত শনিবার সন্ধ্যায়। এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেছেন, লোকলজ্জার ভয়ে তারা বিষয়টি চেপে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসামির তরফে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, আসামির দেহরক্ষী তাকে নিয়মিত অনুসরণ করতে থাকেন এবং দুজনের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেন। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করার হুমকিও দেওয়া হয়।