ঝিনাইদহে ‘সাবটেল স্পিল্ট’ অপারেশনে পিস্তল গুলি উদ্ধার, ৮ বোমা নিষ্ক্রিয়
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও সুলতান আল একরাম (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অপারেশন ‘সাবটেল স্পিল্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের অভিযানের পর এই অভিযানের সমাপ্তি টানেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে নব্য জেএমবির সদস্য শামীমকে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত ৮টি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া একটি নাইন এম এম পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের নব্য জেএমবির সদস্য শামীমের বাড়িতে আবারো অভিযান চালায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। শেষ হয় বেলা সোয়া ১২টার দিকে।
গত ২২ এপ্রিল সন্ধান পাওয়া সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের জঙ্গি আস্তানার বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ। সে ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। সোমবার দুপুরে আব্দুল্লাহ পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা আব্দুল্লাহর লাশ গ্রহণ করেননি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মেদ বলেন, এলাকাবাসী ও সকলের সহযোগিতায় দুটি অভিযান সফলভাবে শেষ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শামীমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এ দুটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, শামীম ঝিনাইদহ পলিটেকনিকের মেধাবী ছাত্র ছিল। কিছুদিন হলো তার বাড়িতে অপরিচিত লোকজন আসত। জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। শামীমের বাড়িতে প্রায় অপরিচিত লোকজন আসত বলে স্বীকার করে তার মা সুফিয়া বেগম। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে খালিদ নামের একটি ছেলে প্রায় তার বাড়িতে আসত। তাকেই তিনি চিনতেন। অন্যান্যদের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে সদর উপজেলার লেবুতলা ও মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দুটি দল। বজরাপুরে অভিযান চলাকালে নিহত হয় নব্য জেএমবির সদস্য তুহিন ও আব্দুল্লাহ। রোববার রাতে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের অভিযানের পর অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৪টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয় এবং ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশ অংশ নিয়েছিল। সম্পাদনা : তরিকুল ইসলাম সুমন