১০ হাজার মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সেতু
নিনা আফরীন,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের খাপড়াভাঙ্গা নদীর তারিকাটা পয়েন্টে দীর্ঘদিনেও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ১৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপার হচ্চেন। এতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, ২০০৫ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে ধূলাসার ও ডালবুুগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখানে দিয়ে প্রবাহিত খাপড়াভাঙ্গা নদীর তারিকাটা পয়েন্টে বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। নদীর উওর পাড়ে নয়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তারিকাটা দাখিল মাদ্রাসা এবং দক্ষিন পাড়ে মিশ্রিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ। এছাড়া শিববাড়ীয়া ও লক্ষীবাজার একটি প্রাচীন বড় হাট। সপ্তাহের একদিন শনিবার ও বৃহস্পতিবার এ হাট বসে।
দূর-দূরান্ত থেকে কৃষিপণ্য ও মালামাল মাথায় করে গ্রামবাসীকে এ সেতু পার হয়ে হাটে যেতে হয়।
কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে বাঁশ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে তিনি ২০১৪ সালে তিন টন চাল বরাদ্দ দেন, যা বিক্রি করে পুনরায় বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটি তারিকাটা, নয়াকাটা, বৌলতলী, মুসলিম পাড়া, বেতকাটা, সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, কাজিকান্দা, সুরডগি, বরকতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী, খেচাউপাড়াসহ বেশকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিনেও এখানে ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেতু পারাপারে অসুস্থ ও গর্ভবতী মায়েদের যেন কষ্টের কোন শেষ নেই।
নয়াকাটা গ্রামের সাবেক মেম্বার মো. নোয়াব আলী হাওলাদার জানান, খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এ এলাকায়।
ডালবুুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ, ছালাম সিকদার জানান, ও সেতুটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ন হওয়ায় জনস্বার্থে এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব তালুকদার জানান, খালটি অনেক বড় হওয়ায় পরিষদের সীমিত বরাদ্দ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান