ভ্যাট হারে বড় পরিবর্তন না করে কৌশলগত অবস্থান নিচ্ছে এনবিআর
বিশ্বজিৎ দত্ত : মূল্যসংযোজন কর নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নতুন একটি কৌশলের কথা ভাবছে। রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে মাত্র ১০ টি পণ্য ও সেবাখাত থেকে রাজস্ব বোর্ডের ৯০ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর আহরণ হয়। বাকি ১০ শতাংশ পণ্য ও সেবা থেকে বাকি মূল্যসংযোজন কর আদায় হয়। আগামী বছর সরকার যে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ণ করতে যাচ্ছে তাতে মাত্র ১০ শতাংশ পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হবে।এ ছাড়া আগের ভ্যাট আইনেও প্রায় বেশির ভাগ পণ্যেই ১৫ শতাংশ রয়েছে।এই হিসাবটি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে আগের নিয়মেই রাখতে পারে। আবার এগুলোর কোনকোনটিতে ভ্যাট হার কিছুটা বৃদ্ধিও করতে পারে।
রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মোট ভ্যাটের ৩৮ শতাংশ আদায় হয় সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো থেকে মোট ভ্যাটের ১৫ শতাংশ আদায় হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে ভ্যাট আসে ১০ শতাংশ। জ্বালানি তেল বাজারজাত করণ কোম্পানি, তেল বিপননকারী কোম্পানি,গ্যাস বিতরণ কাজে নিয়োজিত কোম্পানি, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানিগুলো ভ্যাটের ২০ শতাংশ প্রদান করে। এরবাইরে বড় ভ্যাটদাতা হলো,ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিসমূহ। সব মিলিয়ে তাদের দেয়া ভ্যাটের পরিমাণ মোট ভ্যাটের ৯০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ১০১টি সেবা খাতের মধ্যে ৭০ টি সেবা খাতেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে।
উল্লেখ্য,মূল্যসংযোজন কর আগামী অর্থবছরে ১৫ শতাংশ করা হবে এনিয়ে ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা ভ্যাটহার কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানায়। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীও ভ্যাট কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ভ্যাটহার বেশিরভাগ সেবায় ১৫ শতাংশ রয়েছে। নিত্যপণ্যে কোন ভ্যাট নাই। হাইকোর্টের নির্দেশে কিছু সেবায় ভ্যাট নেয়া হয় না। আর ভ্যাট বেশি দেয় মাত্র ৩৩টি খাত। এরবাইরে যেসব পণ্য ও সেবা ভ্যাট দেয় তার পরিমাণ খুবই কম। এগুলো নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে। র্জাস্ব বোর্ড আগামী বাজেটে এই ৫ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য ও সেবা খাতে কৌশলগত অবস্থান নিবে। অনেকটা সাপও মরবে লাঠিও ভাংবে না। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি