লালমনিরহাট প্রতিনিধি:লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মা মেয়েকে বেধম মারপিট করেছে পাষন্ড স্বামী বজলুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার দিনগত রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে আহত মা ইয়াসমিন বেগম (৩০) ও মেয়ে মুসরত জাহান বিথীকে (৬)। বজলুর রহমান লালমনিরহাট পৌরসভার তালুক খুটামার গ্রামের আমজাদ চৌকিদারের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ২০০৯ সালে বজলুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের ইনসান আলীর মেয়ে ইয়াসমিন বেগমের। বিয়ের সময় একটি অটো বাইক যৌতুক হিসেবে জামাইকে দেন ইনসান আলী। বিয়ের কিছু দিন না যেতেই জুয়া খেলায় সেই অটো বাইক বিক্রি করে দেন বজলুর রহমান।
এরপর ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করার কথা বলে শ্বশুরের কাছে আবারও ২০ হাজার টাকা নেন বজলুর। এরই মাঝে বজলুর ইয়াসমিনের ঘরে জন্ম নেয় দুই টি মেয়ে সন্তান। চাকরির সুবাধে জেলার পাটগ্রামে অবস্থান করায় সেখানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বজলুর রহমান। সেই পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি এসে স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারপিট করে লম্পট বজলুর রহমান ও তার বোন আমিনা বেগম। এ সময় ছোট মেয়ে মুসরত জাহান বিথী (৬) মায়ের কাছে এগিয়ে গেলে তাকেও উপরে তুলে আছর মেরে পা ভেঙে দেন। এরপর স্থানীয়রা এসে মা মেয়েকে উদ্ধার করে রাতে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের বেডে ভর্তি ইয়াসমিন বেগম জানান, স্বামীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে পুনরায় যৌতুক নিতে তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়িসহ পুরো পরিবার তাকে বাড়ি ছাড়া করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় বাড়ির সবাই মিলে তাকে ও তার মেয়ে বিথীকে মারপিট করেছে। ইয়াসমিনের ভাই লিজু জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান