এম. আমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৪৬ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি আদালতে আত্মমর্পণ করে জামিন চাইলে কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তৌফিক আজিজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ৭ডিসেম্বর সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল মামলার চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ।
একই মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়েছিলেন- সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলম, সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আবুল কাশেম মজুমদার ও নুর মোহাম্মদ সিকদার জামিনে রয়েছেন ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম জানান, মামলার তদন্তে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত ও সরকারি খাস ১নং খতিয়ানের জমিসহ ফিল্ড বুকে চিংড়ি ঘেরের কোনো বিবরণ না থাকা সত্ত্বেও প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ও অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তিনামা ও মাস্টাররোলের ফটোকপি দাখিল করে ১৩৩৫ একর জমির চিংড়ি ফসলের ক্ষতিপূরণের প্রাক্কলন তৈরি ও অনুমোদনের মাধ্যমে প্রত্যাশি সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লি. এর নিকট থেকে অন্যান্য ক্ষতিপূরণের সঙ্গে চিংড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩শ ২০ টাকার চেক সংশ্লিষ্ট অধিগ্রহণের হিসাবে জমা করেন। পরবর্তীতে ২০টি এল.এ চেক মূলে প্রায় ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের সাবেক ডিসি মো. রুহুল আমিন বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার কুজের হাট ইউনিয়নের ফুলবাছিয়া গ্রামের আবদুল রব হাওলাদারের ছেলে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান