প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি হতাশ : বিএনপি
কিরণ সেখ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। যাদের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন, তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে ঐক্য হয়ে গেছেÑ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঐক্যের কথা বলছেন তা সরকারে আসীন দলগুলো ও মহাজোটেরও ঐক্য নয়। ক্ষমতাসীনরা ১৪ দলীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে কিভাবে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন?
গতকাল সোমবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন রাখেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? কি করে সম্ভব অন্যান্য দেশপ্রেমিক দলকে বাইরে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়া? তাই সরকারের উচিত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা ব্লেম গেইম নয়, দেশের নিরাপত্তা, ভাবমূর্তি ও জননিরাপত্তার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করা।
গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার কথা সরকার আগে থেকেই অবগত ছিলÑ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মারাত্মক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে সরকারি ব্যর্থতার জন্য দেশি-বিদেশি মানুষগুলো নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হতে হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে? গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, শুধু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান শুধু সময়োচিত নয়, বাস্তবতার নিরিখে অনিবার্য। তবে সরকার ক্ষমতার মোহে বর্তমান সঙ্কটের গুরুত্ব স্বীকার করতে চায় না। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে সম্মত হোন। কারণ শুধু ক্ষমতাসীনদের ঐক্য সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমন করতে পারবে না। বরং এর পরিসর আরও বিস্তৃত করবে। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম