টেনিস তারকা হতে সংগ্রামে পিছপা হইনি : সানিয়া
এম রবিউল্লাহ: একজন নারী হওয়ার কারণে টেনিস তারকা হতে জীবন সংগ্রামের কোনো কমতি ছিল না বলে জানিয়েছেন বিশ্বসেরা নারী টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। তিনি বলেন, আমি আর্থারাইটিসে আক্রান্ত ছিলাম। তারপরও প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে টিকে থাকার শিক্ষা পেয়েছি, বেঁচে আছি। আর এ পর্যন্ত পৌঁছতে বাবা-মায়ের সব আয় খরচ হয়েছে টেনিসে।
এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজেকে নিয়ে পূর্ব বিতর্কের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একথা বলেন সানিয়া মির্জা। কথা বলেন, দেশপ্রেম, ধর্ম, পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করার বিতর্ক প্রসঙ্গে। সানিয়া বলেন, আমি যখন টেনিস খেলার সিদ্ধান্ত নেই তখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। এমন বিলাসী সিদ্ধান্তের জন্য কোনো সামর্থ্য ছিল না আমার পরিবারের। আমি যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে না আসতাম, তাহলে কখনই টেনিস খেলোয়াড় হতে পারতাম না। অন্যদিকে যেত আমার ভাগ্য ও গন্তব্য।
স্মৃতিচারণ করে সানিয়া বলেন, আমার কাজিন আমাকে বলেছিল, নারী হওয়ায় আমি কখনই টেনিস খেলতে পারব না। আমার সংগ্রামের কোনো কমতি ছিল না। বাবা-মায়ের সব আয়ের খরচ আমার টেনিসের পেছনে।
তিনি জানান, টেনিস টুর্নামেন্টে অনুপযোগী একটি গাড়ি নিয়ে যেতে হতো আমাদের। হোটেল ভাড়া বাঁচাতে গাড়িতেই অবস্থান করতে হতো। জীবন এখনো সংগ্রামে পরিপূর্ণ। তবে এখন সংগ্রাম ভিন্ন ধরনের। সৌভাগ্যের শীর্ষে উঠা সহজ নয়। তবে ওখানে অবস্থান করাও সহজ নাÑ বলেন তিনি।
সানিয়া বলেন, আমার এখনো মধ্যবিত্ত পরিবারের মত মনমানসিকতা রয়েছে। যার জন্যে গর্ববোধ করি। অর্থ ও খ্যাতি আমার নৈতিকতা ও মূল্যবোধ পরিবর্তন করতে পারেনি। খেলার সঙ্গে অর্থ বা খ্যাতি জড়িত নয়। খেলা বিজয়ী হওয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়। জয়ী হয়েছি। কিন্তু জয় ছাড়াও আমাকে নিয়ে অনেকের ভালবাসা, ভাললাগা, দুশ্চিন্তা কিংবা প্রেরণা সবই বিরাট এক অংশ হয়ে আছে আমার জীবনে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ