জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করে তিনি। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তমিজ মার্কেটস্থ লক্ষ্মীপুর রিপোটার্স ক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী। এর আগে এ ঘটনার বিচার চেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের আমজাদ মিয়া বাড়ির মৃত ছাবিদুল হকের ছেলে। তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা। ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী জানান- আমার স্বামীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৭বছর থেকে প্রবাসী স্বামী আমাকে ঘরে নিচ্ছেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর সংসারে যাওয়ার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে এমপির প্রতিনিধির দ্বারস্থ হই।
বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হককে অবগত করি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে আনোয়ারুল হক গত বছরের ২৯ মে তার লক্ষ্মীপুরের ভাড়া বাসায় আমাকে ডেকে এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন এমপির প্রতিনিধি আনোয়ার। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত এক বছর ধরে আমার সঙ্গে সে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তালবাহনা শুরু করে। এ বিষয়ে সু-বিচার পাওয়া জন্য আমি সংসদ সদস্য আবদুল্যা আল মামুন বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ও কোন বিচার না পেয়ে আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
স্বামীর সংসারে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অ্যাডভোকেট আনোয়ারল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান