৬২টি আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী
দীপক চৌধুরী : রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার অনুমোদনহীন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিক, বার উচ্ছেদে অভিযান চালাতে পুলিশ চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, গুলশানের অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ৬২টি আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস নিয়ে বেশি চিন্তিত পুলিশ। এসব হোটেল ও গেস্ট হাউসে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে সাদা পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। কারণ, বেশকিছু গেস্ট হাউসে বিদেশি অতিথিরাও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গুলশান এলাকায় তালিকা করা ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউস, ক্লাব, স্পা, বেকারি ইত্যাদি। এর মধ্যে রেস্টুরেন্ট রয়েছে ৩৪২টি, আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস ৬২টি, স্কুল ৫৬টি, বিশ্ববিদ্যালয় ২৩টি, কলেজ ৩টি, বার ১৬টি এবং হাসপাতাল ও ক্লিনিক ৫০টি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের সময় যারা নিজ উদ্যোগে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান সরিয়ে না নেবে তাদের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এজন্য সোমবার রাজউকের পক্ষ থেকে এসব সেবা সংস্থার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রাজউক প্রয়োজনীয় পুলিশ পেলে যেকোনো দিন এ অভিযান শুরু হতে পারে। উচ্ছেদ অভিযানের তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন রাজউকের বোর্ড সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আসমাউল হোসেন।
রাজউকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে থাকে তাদের সেই লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। অভিযানের সময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি