নড়াইলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
মো. ইমরান হোসেন, নড়াইল: রমজানের শুরুতেই নড়াইলে চিনি, ছোলা, চিড়া, সশা, বেগুন, চাল, পোল্ট্রি, সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয়য় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। নড়াইল শহরের চৌরাস্তা বাজার, রুপগঞ্জ বাজার, পুরাতন টার্মিনাল বাজার, তুলারামপুর বাজার, মাইজপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারী বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের কোন মিল নেই। খুচরা ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছামত কাচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম নিচ্ছে। একই বাজারে এক প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে এক মূল্যে আর এক প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে আরেক মূল্যে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা মিলে বিভিন্ন পণ্যের দাম ইচ্ছা মত বৃদ্ধি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। তাদের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটা বাজারে মনিটারিং করা হোক।নড়াইল শহরের মহিষখোলা গ্রামের ক্রেতা শারমিন লাকী জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তার অভিযোগ ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছামত বিভিন্ন জিনিসের দাম হাকাচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধু ব্যাবসায়ীদের শাস্তি দিয়ে সকল পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায় এনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। নড়াইল শহরের কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ইনামুল বলেন, বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পেছনে তাদের কোনো হাত নেই। আড়ৎ থেকে তারা যে দামে বিভিন্ন পন্য ক্রয় করেন সেই দামের ওপর সামান্য লাভ রেখে তারা বিক্রয় করেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি চিনিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা চিনি বিক্রি হত ৬২ টাকা বর্তমানে ৭৪, ছোলা ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিড়া ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা, শসা ১৫ থেকে বেড়ে ২৫, বেগুন ৩০ থেকে বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা। পল্ট্রি মুরগি ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা, কক ২৪০ থেকে বেড়ে ২৫০ বিক্রী হচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান